ভাঙনের ৫৫ বছর পরও যেভাবে গ্র্যামি জিতল দ্য বিটলস ব্যান্ড

2 days ago 5

দ্য বিটলস, নামটিই যথেষ্ট তাদের পরিচয়ের ক্ষেত্রে। ষাটের দশকে যুক্তরাজ্যের লিভারপুলে গঠিত ব্যান্ড, যারা শুধু সংগীতের জগতেই নয় সাংস্কৃতিক পরিবর্তনেও এক বিপ্লব সৃষ্টি করেছিল। জন লেনন, পল ম্যাককার্টনি, জর্জ হ্যারিসন, এবং রিংগো স্টার- এই চার কিংবদন্তির সমন্বয়ে গঠিত বিটলস একসময় বিশ্বব্যাপী তার সংগীতের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিল।

দ্য বিটলসের সংগীত ছিল সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে। তাদের গানের কথাগুলো গভীর ভাবনাচিন্তা ও সমাজের নানা দিক নিয়ে কাজ করেছিল। তাদের অ্যালবামগুলো প্রতিটি যুগে নতুন একটি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে হাজির হয়েছে। ‘স্যার্জেন্ট পিপারস লোনলি হার্টস ক্লাব ব্যান্ড’, ‘রেবেল রেভলিউশন’, ‘হেল্প!’ এবং ‘এবভি রোড’ - এসব অ্যালবাম এখনো সংগীতপ্রেমীদের কাছে অমর হয়ে আছে।

৫৫ বছর আগে ভেঙেছে ব্যান্ডটি। অথচ ২০২৫ সালের গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডে দুটি মনোনয়ন পেয়েছিল গানের এই দল। ‘রেকর্ড অফ দ্য ইয়ার’ এবং ‘বেস্ট রক পারফরম্যান্স’; এই দুটি ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েছে তাদের গান ‘নাউ অ্যান্ড দ্যেন’। আর এটি পুরস্কার জিতেছে ‘বেস্ট রক পারফরম্যান্স’ বিভাগে। এই গানটি জন লেনন ১৯৭০ সালে ডেমো করেছিলেন। কিন্তু এটি গত বছর দলটির বেঁচে থাকা সদস্য পল ম্যাককার্টনি ও রিঙ্গো স্টার গানটি সম্পন্ন করে প্রকাশ করেন।

ভাঙনের ৫৫ বছর পরও যেভাবে গ্র্যামি জিতল দ্য বিটলস ব্যান্ডদ্য বিটলসের প্রয়াত সদস্য জন লেননের ছেলে শান তারো অনো লেনন ব্যান্ডটির পক্ষে গ্র্যামি পুরস্কার গ্রহণ করেন

দ্য বিটলস বছরের পর বছর গ্র্যামি ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। ২০১৬ সালে তাদের ডকুমেন্টারি ‘এইট ডেজ আ উইক: দ্য টুরিং ইয়ার্স’ গ্র্যামির সেরা মিউজিক ফিল্ম পুরস্কার জিতেছিল। সেখানে বিয়ন্সের ‘লেমনেড’-কে পরাজিত করেছিল ডকুমেন্টারিটি।

মজার কথা হলো দ্য বিটলস তাদের সোনালী সময়ে কখনো ‘রেকর্ড অফ দ্য ইয়ার’ পুরস্কার জিততে পারেনি। তারা এই ক্যাটাগরিতে চারবার মনোনীত হয়েছিল ‘আই ওয়ান্ট টু হোল্ড ইয়োর হ্যান্ড’, ‘ইয়েস্টারডে’, ‘হে জুড’ এবং ‘লেট ইট বি’ গানগুলোর জন্য।

তবে ‘বেস্ট রক পারফরম্যান্স’ বিভাগে তারা এবার সাফল্য পেয়েছে। অবশ্য এই অর্জনটি কিছু বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। রেকর্ডিং অ্যাকাডেমির বিধিমালা অনুযায়ী, গ্র্যামি পুরস্কারের জন্য শুধুমাত্র মানুষের সৃষ্টি কাজকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। কিন্তু বিটলসের গানটিতে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। তাই গ্র্যামি পুরস্কারের এই জয় বিটলসের ইতিহাসের নতুন এক অধ্যায় হলেও এটি প্রযুক্তির নৈতিকতা এবং সৃষ্টির মৌলিকতা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরছে।

আবার এটাও উল্লেখ্য যে, প্রথম এআই ব্যবহার করা গান দিয়ে গ্র্যামি জেতার রেকর্ডটিও এখন দ্য বিটলসের দখলে।

এলআইএ/এএসএম

Read Entire Article