ভাত ছেড়ে দিলেই কি ওজন কমবে? যা বলছেন পুষ্টিবিদ

3 hours ago 4

আমরা সবাই চাই সুস্থ থাকতে। আর অতিরিক্ত ওজন না চাইতেই বাড়িয়ে দেয় নানা ধরনের ঝামেলা—ডায়াবেটিস, কোলস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি। তাই অনেকেই ওজন কমাতে নানা রকম ডায়েট বা খাবার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।

এমন অনেকেই আছেন যারা ভাবেন, ওজন কমাতে গেলে একেবারেই ভাত খাওয়া বন্ধ করতে হবে। কিন্তু ওজন কমাতে ভাত বাদ দেওয়া কি আসলেই উচিত? ডায়েট চার্টে ভাত রেখে কি তাহলে ওজন কমানো যায় না? কলকাতার একজন পুষ্টিবিদ ঈশানী গাঙ্গোপাধ্যায় এ নিয়ে জানিয়েছেন কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা। চলুন দেরি না করে জেনে নিই ভাত নিয়ে কিছু জরুরি কথা—

আরও পড়ুন : সকালে এক কাপ কফি বাড়াতে পারে আয়ু

আরও পড়ুন : ছবিতে প্রথমে কী দেখতে পাচ্ছেন, উত্তরই বলে দেবে কেমন মানুষ

ভাত খারাপ নয়, বরং শক্তির উৎস

ঈশানী বলছেন, ভাত বাঙালিদের প্রধান খাবার এবং আমাদের শরীরের জন্য শক্তির একটা বড় উৎস। ভাতে ফাইবার, ভিটামিন আর খনিজ থাকে, যা শরীরের জন্য দরকারি। তাই ভাতকে একেবারে শত্রু ভাবার কিছু নেই। এমনকি ডায়াবেটিস থাকলেও, সঠিক নিয়মে ও পরামর্শ নিয়ে ভাত খাওয়া যায়।

তবে ওজন কমাতে ভাত ছাড়তে হবে?

সাদা চালের ভাতে অনেক দরকারি অংশ প্রক্রিয়াজাত করার সময় নষ্ট হয়ে যায়। আবার এতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি, মানে রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়াতে পারে। তাই ঈশানীর পরামর্শ, সাদা ভাতের বদলে ব্রাউন রাইস খাওয়া ভালো। এতে ফাইবার বেশি থাকে, ওজনও বাড়ে না আর রক্তে চিনি নিয়ন্ত্রণে থাকে।

দিনে একবারই যথেষ্ট

অনেকেই দিনে তিন বেলা ভাত খান, কিন্তু ঈশানী বলছেন দিনে এক বেলার বেশি ভাত না খাওয়াই ভালো। বাকি সময়ে রুটি, ডালিয়া, ওটস, যব বা রাগির মতো বিকল্প খাওয়া যেতে পারে—যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

শুধু ডায়েট নয়, ব্যায়ামও দরকার

ওজন কমাতে শুধু খাবার নিয়ন্ত্রণ করলেই হবে না। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট করে ব্যায়াম করতে হবে। চাইলে জিমে গিয়ে ট্রেইনারের পরামর্শেও অনুশীলন করা যেতে পারে।

আরও পড়ুন : সন্তানদের সঙ্গে সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তুলুন

ভাত খাওয়া একেবারে বন্ধ করা দরকার নেই। বরং কী পরিমাণে এবং কোন ধরনের ভাত খাচ্ছেন, সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গে ভালো খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম—তাহলেই ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে আর শরীর থাকবে সুস্থ।

Read Entire Article