স্বাধীনতার পর থেকে ভারত কখনো বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীতে ‘বাংলাদেশের রাজনীতি ও সংস্কৃতি কোন পথে’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। সেমিনারের আয়োজন করে মহানগরী সাংস্কৃতিক ফোরাম।
ইসকন ইস্যুতে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসকনের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণকে নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ এ বিষয়ে ধৈর্য ধরেছে। এভাবেই আমাদের দিল্লির আগ্রাসন মোকাবিলা করতে হবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কোন স্ট্যাটাসে ভারতে রাখা হয়েছে, দেশটি এখনো তা জানায়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এহসানুল হক মিলন বলেন, শেখ মুজিব বাকশাল কায়েম করে একদলীয় শাসন শুরু করেছিলেন। জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছেন। সেখান থেকেই দেশে গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু। এভাবেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছিল। এরপর ওয়ান ইলেভেন থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ছিল কলঙ্কজনক অধ্যায়।
তিনি বলেন, এখন দেশে সবচেয়ে বেশি দরকার গণতন্ত্র। হাজার মানুষের রক্তের বিনিময়ে যে বিজয় পেয়েছি, তাকে সমুন্নত রাখতে হবে। এই সরকার অনেক সংস্কার হাতে নিয়েছে। তার মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
‘আমরা গত তিনটি প্রহসনের নির্বাচন দেখেছি। আমি-ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে স্বৈরাচার টিকে ছিল। বিগত নির্বাচনগুলোতে কমিশন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে একটা দলকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। আমরা অপেক্ষায় আছি, এই নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবে।’
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই, নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ হোক। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, এই সরকারকে যৌক্তিক সময় দেওয়া হবে। আমরাও সেই অপেক্ষায় আছি।
আরএএস/এমকেআর/জিকেএস