এশিয়া কাপের সুপার ফোরে বুধবার ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। ফাইনালে উঠতে হলে এই ম্যাচকে দু’দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স জানিয়েছেন, তার শিষ্যরা চাপে নয়, বরং ম্যাচের চারপাশের উত্তেজনা ও আলোচনাকেই অনুপ্রেরণা হিসেবে নিতে চায়।
সিমন্স বলেন, ‘প্রতিটি ম্যাচেই কিছু না কিছু হাইপ থাকে। তবে ভারত যখন প্রতিপক্ষ, তখন সেটা আরও বেড়ে যায়। তারা বিশ্বের এক নম্বর টি-টোয়েন্টি দল। আমাদের কাজ হলো এই হাইপ উপভোগ করা এবং মাঠে সর্বোচ্চটা দেওয়া।’
গত বছর ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হেরে ভুগেছিল বাংলাদেশ। তবে নতুন কোচ ফিল সিমন্স দায়িত্ব নেওয়ার পর দল বদলে ফেলেছে খেলার ধরন। এখন আর উইকেট বাঁচিয়ে খেলার মানসিকতায় নয়, বরং শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেটে জোর দিচ্ছে দল।
অধিনায়ক লিটন দাসের নেতৃত্ব ও সিমন্সের পরিকল্পনায় খেলোয়াড়দের স্বাধীনভাবে খেলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। সিমন্সের ভাষায়, ‘আমরা ক্রিকেটারদের স্বাধীনতা দিচ্ছি, যাতে তারা মাঠে নিজেদের দক্ষতা প্রকাশ করতে পারে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে হারের পর একাদশে পরিবর্তন এনেছিলেন সিমন্স। তরুণ সাইফ হাসানকে সুযোগ দিয়ে তিনি আস্থা রাখেন অনুশীলনে দেখা পারফরম্যান্সের ওপর। ফলও মেলে- সাইফ করেন ৬১ রান। একইভাবে প্রতিপক্ষ ও পরিস্থিতি অনুযায়ী নুরুল হাসানের বদলে মেহেদি হাসান বা রিশাদ হোসেনের পরিবর্তে শরিফুল ইসলামকে খেলানো হয়েছে।
সিমন্স জানান, ‘প্রত্যেকেরই সুযোগ আছে। কখনও এক ম্যাচে ভালো খেললেও পরের ম্যাচে টিম কম্বিনেশনের কারণে বাদ পড়তে হতে পারে। এটা কঠিন, কিন্তু দলের ভারসাম্যটাই আসল বিষয়।’
বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে আনা হয়েছে ঘন ঘন পরিবর্তন ও ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট। তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম সাকিবদের পর্যায়ক্রমে ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া নতুন প্রজন্মের ফাস্ট বোলার নাহিদ রানাকে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ পরিকল্পনা ও পরামর্শ।
যদিও ভারত-বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি মুখোমুখি লড়াইয়ে রেকর্ড ১৬-১ ভারতের পক্ষে, তবুও বাংলাদেশ শিবিরে আত্মবিশ্বাসী মনোভাব। কোচ সিমন্স মনে করছেন, ‘ক্রিকেট এক দিনের খেলা। যদি সুযোগ কাজে লাগাতে পারি, আমরাও জিততে পারব।’
আগামীকালকের ম্যাচ জিতে ফাইনালের পথে আরও এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়েই ভারতের মুখোমুখি হবে লাল-সবুজের বাংলাদেশ।
আইএইচএস/