সৌরভ গাঙ্গুলি পূনরায় বিসিসিআই সভাপতি হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছিল। আবার নাম শোনা গিয়েছিল ভারতের কিংবদন্তি স্পিনার হরভজন সিংয়ের নামও; কিন্তু তাদের কেউই নন, শেষ পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি হচ্ছেন দিল্লির সাবেক অধিনায়ক মিঠুন মানহাস। আগামী রোববার বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
সোমবার বিসিসিআইয়ের নির্বাচন কর্মকর্তা এ. কে. জোতি মনোনয়নপত্র যাচাই শেষে বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেন। সেখানে প্রতিটি পদেই একক প্রার্থী থাকায় আর ভোটাভুটিতে যেতে হচ্ছে না। এর আগে কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ আলোচনা শেষে পরবর্তী অফিসবাহকদের নাম চূড়ান্ত করা হয়।
ভারতের জার্সিতে কখনো কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেননি মিঠুন। মাঠে না নামলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে অতিপরিচিত নাম নন মিঠুন মানহাস। চুটিয়ে আইপিএলও খেলেছিলেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতেন দিল্লির হয়ে। দুই বছর জম্মু ও কাশ্মীরের হয়েও খেলেছেন।
এছাড়া আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিল, পুনে ওয়ারিয়র্স, চেন্নাই সুপার কিংসে খেলেছিলেন মিঠুন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৫৭ ম্যাচে ৯৭১১ রান আছে তার। আইপিএলে ৫৫ ম্যাচে ৫১৪ রান করেছিলেন তিনি। এছাড়া ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে বেশ কয়েকবার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সেই মিঠুনই হতে যাচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের হর্তাকর্তা।
রোববার ছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি পদে মনোনয়ন জমার শেষ দিন। আজ (সোমবার) সে সব মনোনয়নপত্র যাছাই-বাছাই করা হয়। এরপরই জানা গেলো, মিঠুন মানহাসের সভাপতি হওয়ার খবর।
এদিকে সিএবি থেকে সৌরভ এবং পাঞ্জাব থেকে হরভজন সিং-এর মতো সাবেক ক্রিকেটাররা বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছিল তাদের মধ্যে কাউকে বিসিসিআই সভাপতি করা হতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সভাপতি পদে বড় চমকই দিল অমিত শাহ গোষ্ঠী।
নিজে এখন আর সক্রিয় ভাবে ক্রিকেট প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও বিসিসিআইতে অমিত শাহের প্রভাব সর্বজনবিদিত। তার ছেলে জয় শাহ বর্তমানে আইসিসি সভাপতি। এর আগে দীর্ঘদিন বিসিবিআই সচিব পদে ছিলেন তিনি। ভারতীয় মিডিয়ার মতে, অমিত শাহের বাড়িতেই পরবর্তী বিসিবিআই সভাপতির নাম নিয়ে বৈঠক হয়েছিল সম্প্রতি।
আইএইচএস/