ভারত সরকার যদি শেখ হাসিনাকে ফেরত না পাঠায় তবে দেশটির অনুমতি পেলে সেখানে গিয়ে শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পিলখানায় সংঘটিত বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তে গঠিত ‘জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন’।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়েছেন কমিশনের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান।
তিনি বলেন, ভারত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে না পাঠালে, তাদের অনুমতি পেলে তদন্ত কমিশন ভারতে গিয়ে শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। কোনো সিকিউরিটি আর যানবাহন না দিলেও কাজ চালিয়ে যাওয়া হবে।
আরও পড়ুন
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, দেশি-বিদেশিরা মিলে বিডিআর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, এ কথা শুধু বললেই হবে না। ভারত জড়িত, বললেই হবে না। এর স্বপক্ষে প্রমাণ হাজির করতে হবে। এসময় ছোট-বড় সব প্রমাণ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।
ফজলুর রহমান বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন নিরপেক্ষ থাকবে, নিরপেক্ষ থেকেই সবার সহযোগিতা নিয়ে তদন্তকাজ চালানো হবে। বিগত ১৬ বছরে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বহু প্রমাণ নষ্ট হয়ে গেছে। এখন যা হওয়ার তা খোলামেলাভাবে হবে।
তিন মাসের মধ্যে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্তকাজ শেষ করার চেষ্টা করা হবে জানিয়ে কমিশন সভাপতি বলেন, সময় বাড়ানোর কোনো ইচ্ছা নেই। তবে প্রয়োজন হলে সময় বাড়ানোর আবেদন করা হবে। কমিশন চায়, সবাই যেন ন্যায়বিচার পায়।
আরও পড়ুন
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত লে. কর্নেল লুৎফর রহমানের মেয়ে ফাবিয়া বুশরা বলেন, আর্মি অফিসার নামেই সবাইকে মেরে ফেলা হয়েছে। ১৬ বছর আগে ইসরায়েলি বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে বিডিআর হত্যাকাণ্ড। নৃশংস বলতে যা বোঝানো হয়, তার কতটা বুঝতে পারবে কমিশন। আবেগ দিয়ে বিজনেস নয়, বিডিআর হত্যাকাণ্ড ন্যাশনাল নয়, বরং এটি একটি আন্তর্জাতিক ঘটনা।
টিটি/এমকেআর