ভারতে পুলিশের সামনেই তারাবির সময় মসজিদে ‘হামলা’

3 hours ago 2

ভারতের মহারাষ্ট্রে তারাবির নামাজ চলাকালে কাঠের গুঁড়ি দিয়ে আঘাত করে মসজিদের গেট ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১২ মার্চ) হোলি উৎসবের সময় কোঙ্কণ অঞ্চলে অনুষ্ঠিত বার্ষিক শিমগা শোভাযাত্রার সময় এই ঘটনা ঘটে। খবর ইন্ডিয়া টুডের।

জানা গেছে, বুধবার (১২ মার্চ) হোলি উৎসবের সময় কোঙ্কণ অঞ্চলে অনুষ্ঠিত বার্ষিক শিমগা শোভাযাত্রা শুরু হয়। একপর্যায়ে শোভাযাত্রাটি একটি মসজিদের কাছে পৌঁছালে, কিছু লোক গাছের গুঁড়ি দিয়ে মসজিদের গেটে আঘাত করেন ও গেটটি ভেঙে ফেলেন। সেসময় মসজিদে তারাবির নামাজ চলছিল।

সেখানে উপস্থিত পুলিশের সামনেই এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশের দাবি, মসজিদে জোর করে প্রবেশের ঘটনা ঘটেনি ও তারা দ্রুত হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এই শোভাযাত্রাটি একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান ছিল, যা নিকটবর্তী একটি মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়। ঐতিহ্য অনুসারে, এতে অংশগ্রহণকারীরা একটি লম্বা গাছের গুঁড়ি বহন করেন এবং বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে ওই গাছের গুঁড়িটি স্পর্শ করানো হয়। মসজিদটিতেও তাই করা হয়েছে বলে দাবি করেছে স্থানীয় পুলিশ। অর্থাৎ পুলিশের দাবি, মসজিদের গেটটি ইচ্ছা করে কিংবা ধর্মীয় বিদ্বেষ থেকে ভাঙা হয়নি।

এদিকে, ঘটনাটির ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়। এরই মধ্যে স্থানীয় পুলিশ বাদী হয়ে মসজিদের সামনে স্লোগান দেওয়া ও বেআইনি সমাবেশের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে।

রত্নগিরির এসপি ধনঞ্জয় কুলকার্নি বলেন, রাজাপুরের ঘটনায়, বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে ঐতিহ্যবাহীভাবে শোভাযাত্রায় ব্যবহৃত গাছের গুঁড়ি স্পর্শ করানো হয়। মসজিদেও একই কাজ করা হয়েছিল। সুতরাং, খবরে যেভাবে বলা হচ্ছে, সেভাবে মসজিদে কোনো আক্রমণ হয়নি । কিছু যুবক স্লোগান তুলেছিল ও আমরা এই বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেছি।

এই ঘটনা অনলাইনে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, রাজনৈতিক নেতারাও এতে সাড়া দিয়েছেন। কেউ কেউ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। আবার কেউ কেউ দাবি করেছেন, গাছের গুঁড়ি দিয়ে ভাঙচুরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

মহারাষ্ট্রের বিধায়ক ও শিবসেনা নেতা নীলেশ রানে এক ভিডিও বার্তায় দাবি করেছেন, ঘটনাটি অতিরঞ্জিত। তার মতে, এই বছর মসজিদের গেট বন্ধ থাকার কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এলাকায় সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার খবরও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

রানে আরও অভিযোগ করেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার মতো করে বিষয়টি চিত্রিত করার চেষ্টা করছেন কিছু রাজনীতিবিদ ও সংবাদমাধ্যম, যা সত্য নয়। রত্নগিরির পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ।

এদিকে, এআইএমআইএম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, পুলিশের উপস্থিতিতে মসজিদে হামলা চালানো লজ্জাজনক ঘটনার একটি ভিডিও শেয়ার করে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে জিজ্ঞাসা করেছেন, সরকার কি যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেবে?

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

এসএএইচ

Read Entire Article