ভারতের গণমাধ্যম সত্য বলায় বিশ্বাসী না, সেখানে মিথ্যা চলে ভালো

2 weeks ago 6

 

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ন্যায্যতা, সমতা ও মর্যাদাপূর্ণ হবে- এটাই আমাদের ফোকাস বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

দেশটির গণমাধ্যমে প্রচার করা অপতথ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ভারতের অনেক গণমাধ্যম সত্য কাভারেজে বিশ্বাসী না। তারা দেখছে এখানে মিথ্যা চলে ভালো। সত্যটা মানুষের অত বেশি নজর কাড়ে না।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এতে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।

ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, আমরা তাদের বলতে পারি আপনারা আসেন। এসে মাঠে থেকে রিপোর্ট করে যান। ঘটনাস্থলে না এসে কারও মুখের কথায় কোনো প্রতিবেদনে কতটুকু সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়? সে জন্য আমরা তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। কারণ আমরা স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী। বিশ্বাস করি যে তারা এখানে আসলে ভারতের টিভি ও গণমাধ্যমে যে অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে তা অনেকাংশে দূর হবে।

তিনি বলেন, (ভারতের গণমাধ্যম) প্রতিনিধি পাঠাবে কি পাঠাবে না, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। কিন্তু অনেক গণমাধ্যমতো সত্য কাভারেজে বিশ্বাসী না। তারা দেখছে মিথ্যা চলে ভালো। সত্যতাটা মানুষের অত বেশি নজর কাড়ে না। এ জন্য হয়তো তারা (বাংলাদেশে) আসছে না। কিন্তু আমাদের আমন্ত্রণ সবার প্রতি।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের আসন্ন বাংলাদেশ সফরে দুদেশের প্রতিনিধিদের বৈঠকে সরকারের অগ্রাধিকার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী। দেশটির সঙ্গে আমাদের ভাষাগত, ইতিহাস ও সংস্কৃতিগত যোগাযোগ রয়েছে। অভিন্ন অনেক নদী রয়েছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের যে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্টতার বিষয় রয়েছে, তার প্রতিটা বিষয়ে আলোচনা হবে। সব বিষয়ই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সফরের মাধ্যমে চলমান অস্থিরতা নিরসনের আশা করেন কি না- এমন প্রশ্নে শফিকুল আলম বলেন, আমরা আশা করছি ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা ভালো হবে। তাদের সঙ্গে আমাদের বহুমুখী সম্পর্ক রয়েছে। তাই আমরা চাইবো ভারতের সঙ্গে সম্পর্কটা আরও ভালো জায়গায় যাক। যাতে দুই দেশের মানুষই এটার সুফল ভোগ করে। একই সঙ্গে চাচ্ছি ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা ন্যায্যতা, সমতা ও মর্যাদাপূর্ণ হবে। সেটা আমাদের ফোকাস।

এমওএস/কেএসআর/জেআইএম

Read Entire Article