ভারতের শাড়ি ও পাকিস্তানের সারারা-গারারার চাহিদা বেশি

5 hours ago 5

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ মার্চ (সোমবার) বা ১ এপ্রিল (মঙ্গলবার) উদযাপিত হবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। সেই হিসাবে ঈদের বাকি আছে মাত্র ৯/১০ দিন। তাই সবাই নিজেদের পছন্দের পোশাক কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন শপিংমলে। এবারের ঈদে মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে পাকিস্তানি পোশাক। তবে শাড়ির ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন, পছন্দ ভারতীয় শাড়ি।

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর বাড্ডায় সুবাস্তু শপিং কমপ্লেক্স, হল্যান্ড সেন্টার ও আশপাশে দোকান ঘুরে এ তথ্য জানা যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় ক্রেতার উপস্থিতি বাড়ছে। তবে তা অন্যান্য বছরের তুলনায় তা কম। বিক্রেতারা বলছেন, সন্ধ্যার পর থেকে ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড় বাড়ে।

বাড্ডায় সুবাস্তু শপিং কমপ্লেক্সের নিচতলায় বিক্রি হয় বিভিন্ন ব্র্যান্ড, নন-ব্র্যান্ড ও চায়না থেকে আমদানি করা জুতা। আর দ্বিতীয় তলায় কসমেটিকস আইটেম ও জুয়েলারি। তৃতীয় তলায় ছেলে ও মেয়েদের নন ব্র্যান্ডের জামাকাপড় ও শাড়িসহ বিভিন্ন গার্মেন্টস আইটেম। এ তলায় মধ্যবিত্তদের সামর্থ্যের মধ্যেই চলে বেচাকেনা, ভিড়ও বেশি। চতুর্থ তলায় ব্রান্ডের দোকান, যেখানে রয়েছে পাকিস্তানি, ইন্ডিয়ান ও চায়নাসহ বিভিন্ন দেশের গার্মেন্টস আইটেম।

ভারতের শাড়ি ও পাকিস্তানের সারারা-গারারার চাহিদা বেশি

আগের তুলনায় এবার ক্রেতা কম
এ মার্কেটের সাদিয়া ফ্যাশন, ঐশী ফ্যাশন, কটন কিংস, ফ্যাশন গ্যালারিসহ বিভিন্ন বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ বছর সরকার পরিবর্তনের পর বেচাকেনা কমেছে অনেকটা। অনেকে বলছেন, দুর্নীতিবাজ ও আগের সময়ের নেতারা যাদের বেতনের বাইরেও ইনকাম ছিল তাদের অবস্থা নড়বড়ে হওয়ায় এখন কম আসছেন। এছাড়া মানুষজন খুব হিসাব করে খরচ করছেন।

সুলতানা ফ্যাশনের বিক্রয়কর্মী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, আগের বছরগুলোতে প্রশাসন বা সরকারি কর্মচারী, নেতাকর্মী ছিল তারা কিনে নিয়ে যেতো। এমনও হতো, একজনই ২০ হাজার টাকার পোশাক কিনতেন। এ বছর সেরকম ক্রেতা পাচ্ছি না। সবদিক থেকেই ক্রেতা কমেছে। শিশুদের জামাকাপড় বিক্রি এসময়ে শেষপর্যায়ে থাকে। এ বছর সবই রয়ে গেছে।

ভারতের শাড়ি ও পাকিস্তানের সারারা-গারারার চাহিদা বেশি

পাকিস্তানি পোশাকের চাহিদা বেশি
বাজারে এ বছর পাকিস্তানি পোশাকের চাহিদা বেশি। সিল্ক, জর্জেট ও অরগ্যাঞ্জা কাজের বিভিন্ন পোশাকের দাম ৫ থেকে ১০ হাজারের মধ্যে। পাশাপাশি পাকিস্তানি এসব পোশাকের মাস্টার কপিও পাওয়া যাচ্ছে, যার মূল্য আড়াই থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে।

ভারতের শাড়ি ও পাকিস্তানের সারারা-গারারার চাহিদা বেশি

চতুর্থ তলায় সিদ্দিকা এন্টারপ্রাইজের বিক্রেতা মান্নান জানান, এ বছর পাকিস্তানি পোশাক ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ক্রেতার উপস্থিতি অনেক ভালো থাকে। এখন রাত একটা পর্যন্ত মার্কেট খোলা থাকে।

তিনি বলেন, ভারতীয় তানা বানা কাতান শাড়ি ও পাকিস্তানি থ্রি-পিস, সারারা-গারারা ও লাক্সারি শিপনসহ অন্যান্য পোশাকের চাহিদা বেশি। এসব পোশাকের দাম ৫ থেকে ১০ হাজারের মধ্যে।

ভারতের শাড়ি ও পাকিস্তানের সারারা-গারারার চাহিদা বেশি

তায়্যেবা ফ্যাশনের কর্মচারী আরমান জানান, পাকিস্তানি আগা-নূর, সাদাবাহার ব্র্যান্ডের পোশাক ৫ থেকে ১০ হাজারের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। লাক্সারি শিপন, জর্জেট, অরগ্যাঞ্জা কাপড়ের তৈরি এসব পোশাক।

পাকিস্তানি পোশাক কিনতে এসেছেন আছিয়া। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, সবার মুখে এখন পাকিস্তানি পোশাকের নাম। তবে দাম অনেক বেশি। আমাদের সবার কিনা পসিবল না। এখানে কালেকশন ভালো আছে। দামে মিললে নেবো।

এএএম/এমএএইচ/এএসএম

Read Entire Article