ভারতের হয়ে খেলার জন্য দুই মাস বিরিয়ানি খাননি শামি
ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামি, এক বছরের বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকার পর, আসন্ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারতের স্কোয়াডে জায়গা করে নিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডেও অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
শামির এই কামব্যাকের পেছনে রয়েছে পরিশ্রম, আত্মত্যাগ এবং অদম্য ইচ্ছাশক্তির এক অনন্য দৃষ্টান্ত। শামির রঞ্জি ট্রফির দল বেঙ্গলের ফাস্ট বোলিং কোচ শিব শঙ্কর পালের ভাষায়, ‘শামি এতটাই ক্ষুধার্ত ছিলেন যে, ম্যাচ শেষ হওয়ার পরেও ৩০-৪৫ মিনিট বাড়তি বোলিং করার অনুরোধ করতেন। এমনকি ম্যাচের দিনও ভোর ৬টায় পুরো দলের আগে মাঠে উপস্থিত থাকতেন।’
শামির ডেডিকেশনের আরেকটি উদাহরণ হলো তার খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন। কোচ পালের মতে, ‘তিনি তার প্রিয় বিরিয়ানি পুরোপুরি এড়িয়ে চলেছেন গত দুই মাস ধরে। শুধুমাত্র একবেলা খাবার খেয়েছেন, যা তাকে শারীরিকভাবে ফিট এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত করেছে কামব্যাকের জন্য।’
শামি বেঙ্গল দলের হয়ে রঞ্জি ট্রফি দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছিলেন। এরপর সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি এবং বিজয় হাজারে ট্রফিতে বেঙ্গলের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান।
রোববার ইডেন গার্ডেন্সে শামি দলের সঙ্গে তার প্রথম আনুষ্ঠানিক অনুশীলন সেশন করেন। বোলিং কোচ মরনে মর্কেলের কাছ থেকে উষ্ণ আলিঙ্গন পাওয়ার পাশাপাশি, তিনি হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে নেট বোলিংয়ে অংশ নেন। মাঠে কয়েক দফা দৌড়ানোর পর শামি তার বোলিংয়ে মনোনিবেশ করেন।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেছিলেন শামি। কিন্তু এরপর থেকেই চোটের কারণে তিনি মাঠের বাইরে ছিলেন। জসপ্রিত বুমরার চোট নিয়ে অনিশ্চয়তার মাঝে শামির এই কামব্যাক ভারতীয় দলের জন্য একটি বড় স্বস্তির খবর।
শামির এই ফিরে আসা কেবলমাত্র তার শারীরিক সক্ষমতার নয়, তার মানসিক দৃঢ়তারও প্রতীক। ক্রিকেটপ্রেমীরা এখন তাকিয়ে আছেন, শামি কীভাবে আবার ভারতীয় পেস আক্রমণের নেতৃত্ব দেন।