ভারী যানবাহনে ভাঙছে আঞ্চলিক সড়ক, বাড়ছে ঝুঁকি

কুড়িগ্রামের ত্রিমোহনী-রাজারহাট-তিস্তা পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কটি এখন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ওভারলোডেড ট্রাক, বালুবাহী যান, পাথরবোঝাই ট্রাকসহ দূরপাল্লার দিবা-নৈশ কোচ চলাচলের কারণে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন। বেড়েছে দুর্ঘটনা ও জনদুর্ভোগ। গত দুই বছরে এই সড়কে অন্তত ছয়জন নিহত হ‌য়ে‌ছেন, আহত হয়েছেন ২৫-৩০ জন। এছাড়া প্রতিদিনই ছোট ছোট দুর্ঘটনা ঘট‌ছে। জানা গে‌ছে, চার বছর আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সদর উপ‌জেলার ত্রিমোহনী থেকে তিস্তা পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কটি নতুনভাবে সংস্কার করে। গ্রামীণ চরাঞ্চলের এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দ্রুত যাতায়াত করে মানুষজন। এক পাশে বিশাল বিল, অন্য পাশে গ্রামীণ বসতি ও বাঁশবাগান। এমন ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে রয়েছে তিস্তা বাজারের পূর্বের একাধিক বাঁক। সওজের নির্দেশনায় এই রাস্তায় মাইক্রোবাস, মিনিবাস, কার, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চালানোর অনুমতি থাকলেও ভারি ট্রাক-কোচ চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিয়ম ভেঙে চলাচল শুরু করে বড় পাথরবোঝাই ট্রাক, বালুবাহী যান ও নাইটকোচ। পাশের জাতীয় মহাসড়ক দিয়ে না গিয়ে চালকরা শর্টক

ভারী যানবাহনে ভাঙছে আঞ্চলিক সড়ক, বাড়ছে ঝুঁকি

কুড়িগ্রামের ত্রিমোহনী-রাজারহাট-তিস্তা পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কটি এখন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ওভারলোডেড ট্রাক, বালুবাহী যান, পাথরবোঝাই ট্রাকসহ দূরপাল্লার দিবা-নৈশ কোচ চলাচলের কারণে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন। বেড়েছে দুর্ঘটনা ও জনদুর্ভোগ। গত দুই বছরে এই সড়কে অন্তত ছয়জন নিহত হ‌য়ে‌ছেন, আহত হয়েছেন ২৫-৩০ জন। এছাড়া প্রতিদিনই ছোট ছোট দুর্ঘটনা ঘট‌ছে।

জানা গে‌ছে, চার বছর আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সদর উপ‌জেলার ত্রিমোহনী থেকে তিস্তা পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কটি নতুনভাবে সংস্কার করে। গ্রামীণ চরাঞ্চলের এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দ্রুত যাতায়াত করে মানুষজন। এক পাশে বিশাল বিল, অন্য পাশে গ্রামীণ বসতি ও বাঁশবাগান। এমন ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে রয়েছে তিস্তা বাজারের পূর্বের একাধিক বাঁক। সওজের নির্দেশনায় এই রাস্তায় মাইক্রোবাস, মিনিবাস, কার, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চালানোর অনুমতি থাকলেও ভারি ট্রাক-কোচ চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিয়ম ভেঙে চলাচল শুরু করে বড় পাথরবোঝাই ট্রাক, বালুবাহী যান ও নাইটকোচ। পাশের জাতীয় মহাসড়ক দিয়ে না গিয়ে চালকরা শর্টকাট ভেবে এ মহাসড়কই ব্যবহার করছেন। সবচেয়ে ঝুঁকির বিষয় সড়কের ওপরের দুটি ছোট ফুটব্রিজ, যার ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলের সক্ষমতা নেই। যেকোনো সময় ব্রিজ দুটি ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।

ভারী যানবাহনে ভাঙছে আঞ্চলিক সড়ক, বাড়ছে ঝুঁকি

স্থানীয় বা‌সিন্দা আব্দুল খা‌লেক, মোজাফ্ফর আলী, ইছাহাক হো‌সেনসহ ক‌য়েকজন জানান, এই সড়‌কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘ‌টে। মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘট‌ছে। ভারী যানবাহনের কারণে সড়কের বহু স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল ইমরান বলেন, কিছুদিন আগে বিষয়টি জানতে পারি। সন্ধ্যার পর পাথরবাহী ট্রাক এই রাস্তায় চলাচল ক‌রে। এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে। খুব দ্রুতই সওজসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠানো হবে। এছাড়া রাজারহাটে বাইপাস সড়কের কাজ চলছে। সেটি হলে শহরের যানজট কমে আসবে।

এ বিষয়ে কু‌ড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথের (সওজ) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মেহেদী হাসান সরকার বলেন, ত্রিমোহনী-রাজারহাট-তিস্তা সড়কটি একটি আঞ্চলিক মহাসড়ক। সোনাহাট দিক থেকে ভারী যানবাহন চলাচল করে, সে বিবেচনায় আমরা চলতি অর্থবছরে রাজারহাট থেকে তিস্তা পর্যন্ত সংস্কারকাজ হাতে নিয়েছি। ভবিষ্যতে পাঁচ দশ‌মিক পাঁচ মিটার থেকে সাত দশ‌মিক তিন মিটার উন্নত করার পরিকল্পনাও রয়েছে।

এফএ/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow