রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ছাত্রীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। বিশেষ প্রয়োজনে অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য স্কুলের পক্ষ থেকে প্রতিটি শাখায় দুটি করে মোবাইল ফোন রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগমকে দেওয়া স্মারকলিপিতে এ দাবি তুলে ধরেন অভিভাবকরা। এর আগে বেইলি রোডে স্কুলটির প্রধান শাখার সামনে মানববন্ধনও করেন তারা।
মানববন্ধনে আয়েশা আক্তার নামে একজন অভিভাবক বলেন, শিক্ষার্থীরা মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে। ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজে ক্যাম্পাসের ভেতরেই দেখা যায় ছাত্রীরা টিকটক করছে। অনেক অভিভাবক বাসায় সন্তানদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দিচ্ছে না। কিন্তু অনেকে আবার মেয়ের হাতে মোবাইল দিচ্ছে। তারা মোবাইল ফোন নিয়ে কলেজে আসছে এবং টিকটক বানাচ্ছে।
যে ছাত্রীর মোবাইল নেই, সে বান্ধবীর মোবাইল ফোন নিয়ে এসব করছে। এগুলো শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণ করার কথা। কিন্তু সেটা করা হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষকে স্কুলে মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে, যোগ করেন অভিভাবক আয়েশা।
এদিকে, অভিভাবক খাজা সলিমুল্লাহ টিপুর নেতৃত্বে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দেন অভিভাবকদের একটি প্রতিনিধিদল। তাতে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ, অস্থায়ী শিক্ষকদের দিয়ে ক্লাস নেওয়া বন্ধ করা, উন্নতমানের ল্যাবরেটরি সুবিধা দেওয়া, বাড়তি ফি নেওয়া বন্ধ করাসহ বেশ কয়েকটি দাবি জানান।
অভিভাবকরা জানান, এইচএসসির ফলাফলে এবার ভিকারুনিসা পিছিয়ে পড়েছে। পাসের হার কমেছে, জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা অর্ধেকের নিচে নেমেছে।
ফল বিপর্যয়ের পেছনে অভিভাবকরা কলেজ প্রশাসনকে দায়ী করছেন। তাদের অভিযোগ চড়া ভর্তি ফি, বেতনের পরও বাড়তি নানা ফি আদায় করে ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ। কিন্তু নামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে ক্লাস নেওয়া বেশিরভাগ শিক্ষকই অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া। তাদের দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তাদের।
পাশাপাশি অবৈধভাবে প্রতিটি ক্লাসে বাড়তি শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়ে তাদের পড়ালেখার খোঁজ-খবরও শিক্ষকরা রাখেন না বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা। তাদের দাবি—সমস্যা ও সংকটগুলো নিরসন করে ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুনাম ফিরিয়ে আনতে কর্তৃপক্ষকে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে।
এএএইচ/এমআইএইচএস/জিকেএস

3 hours ago
4









English (US) ·