ভিয়েতনামের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় কাজিকি। এর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় এরই মধ্যে স্কুল, বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া নয়েছে হাজার হাজার মানুষকে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভিয়েতনামের উত্তরপূর্ব উপকূলে তীব্র বাতাস ও বিশালাকার ঢেউসহ আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।
গত রোববার ঘূর্ণিঝড় কাজিকির প্রভাবে চীনের দক্ষিণ হাইনান দ্বীপে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাতে এটি গালফ অফ টংকিন পার হয়। এসময় ঝড়ের বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১৬৬ কিলোমিটার রেকর্ড করা হয়েছে, যা আটলান্টিক হারিকেনের ক্যাটেগরি ২-এর সমতুল্য।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত উপকূলীয় নিম্নভূমি এলাকার ৪০ হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।
কাজিকি এই বছর ভিয়েতনামে আঘাত হানা পঞ্চম ঘূর্ণিঝড় এবং সবচেয়ে শক্তিশালী।
ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন জানান, ঝড়টি ভারী বৃষ্টি, হঠাৎ বন্যা এবং ভূমিধসের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষত নিম্নভূমি উপকূলীয় এলাকায়। সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং দ্রুত গতিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড়।
ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে স্থানীয় সিভিল এভিয়েশন অথরিটি কেন্দ্রীয় ভিয়েতনামের দুটি প্রাদেশিক বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করেছে এবং ভিয়েতনামি এয়ারলাইনস অনেক ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্ব করেছে। থানহোয়া প্রদেশের স্কুলগুলোও দুই দিনের জন্য বন্ধ করা হয়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিন লাখের বেশি সামরিক কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
চীনের মেটেরোলজিক্যাল সেন্টার জানিয়েছে, ঝড়টি ভিয়েতনামের মধ্য ও উত্তর প্রদেশের ১৩টি এলাকা ছাড়াও লাওস এবং থাইল্যান্ডেও ভারী বৃষ্টি বয়ে আনবে। কিছু অঞ্চলে ২০০-৪০০ মিলিমিটারে বৃষ্টি এবং বিচ্ছিন্ন এলাকায় ৬০০ মিলিমিটারের বেশিও বৃষ্টি হতে পারে।
সূত্র: সিএনএন
কেএএ/