ভিসিবিহীন বিশ্ববিদ্যালয়ে বেতন ছাড় হবে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকের সইয়ে

1 month ago 19

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যরা পদত্যাগ করেছেন। একই সঙ্গে বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষসহ শীর্ষপদে থাকা ব্যক্তিরাও পদত্যাগ করেছেন। এতে প্রাশাসনিক শূন্যতায় পড়েছে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।

এদিকে, আগস্ট মাস শেষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা না থাকায় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ মাসের বেতন-ভাতা অনুমোদন নিয়ে বিপাকে পড়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় বলছে, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে বেতন-ভাতা পরিশোধসহ জরুরি আর্থিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে দিয়ে সাময়িকভাবে পরিচালনা করা যাবে। তবে এ সিদ্ধান্ত ডিন কাউন্সিল ও বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে দেওয়া এক চিঠিতে এ পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে সই করেছেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম।

চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ও ট্রেজারার পদত্যাগ করছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলরসহ অন্যান্য কর্মকর্তা পদত্যাগ না করা সত্ত্বেও কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।

এতে আরও বলা হয়, ‌‘তাদের পদত্যাগ ও অনুপস্থিতিজনিত কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রমে অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। প্রশাসনিক কার্যক্রম চলমান রাখা ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিয়মিত ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিল, ক্ষেত্রমতে বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে দিয়ে সাময়িকভাবে জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।’

এএএইচ/জেএইচ

Read Entire Article