দিনভর ক্লান্তি, ঘুম থেকে উঠে নাক বন্ধ থাকা, বারবার হাঁচি কিংবা দীর্ঘদিনের কাশি—এসব হলে বেশিভাগ মানুষ ভেবে নেন আবহাওয়ার প্রভাব, ঠান্ডা-সর্দি বা অ্যালার্জির সমস্যা। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, আসল দোষ অনেক সময় আপনার প্রতিরাতের সঙ্গী বালিশেরই!
তাদের ভাষ্য, পুরোনো বা অপরিষ্কার বালিশে জমে থাকা ধুলো, ছত্রাক ও অ্যালার্জেন নীরবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে ফুসফুসকে। যাদের হাঁপানি বা সাইনাসের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য বিষয়টি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
চিকৎসকদের দাবি, দীর্ঘদিন এমন বালিশে ঘুমালে শ্বাসকষ্ট বাড়তে পারে, এমনকি হাইপারসেনসিটিভিটি নিউমোনাইটিস বা পালমোনারি ফাইব্রোসিসের মতো জটিল রোগও হতে পারে।
কীভাবে বালিশ ফুসফুসের ক্ষতি করে?
অপরিষ্কার বালিশে ধুলো-কণা, অ্যালার্জেন ও ফাঙ্গাস জন্ম নিতে পারে। এগুলো শ্বাসনালিতে প্রদাহ সৃষ্টি করে হাঁপানি বা শ্বাসজনিত জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়। ফোম বালিশে ছাঁচের উপস্থিতি বিশেষভাবে হাইপারসেনসিটিভিটি নিউমোনাইটিসের সঙ্গে যুক্ত। চিকিৎসা না হলে এটি পালমোনারি ফাইব্রোসিস এবং শ্বাসকষ্টজনিত ব্যর্থতায় রূপ নিতে পারে।
কখন বুঝবেন বালিশ বদলানো দরকার?
ঘুম থেকে উঠে নাক দিয়ে পানি পড়া, হাঁচি, চোখ চুলকানো, কাশি বা শ্বাসকষ্ট হলে সেটি হতে পারে বালিশ বদলানোর ইঙ্গিত। এছাড়া বালিশে দৃশ্যমান দাগ, দুর্গন্ধ, ঢিলে হয়ে যাওয়া বা তুলো দলা পাকিয়ে গেলে দ্রুত পরিবর্তন করা উচিত।
চিকিৎসকের পরামর্শ
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণভাবে প্রতি ১-২ বছরে একবার বালিশ বদলানো ভালো। এতে অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদান জমতে পারে না। তবে যাদের হাঁপানি, সাইনাস বা ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা আছে, তাদের জন্য প্রতি ৩-৬ মাসে একবার বালিশ বদলানো জরুরি।
সূত্র : টাইস অব ইন্ডিয়া ও অন্যান্য