ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সাজা দেওয়া হবে : উপদেষ্টা ফারুক ই আজম

2 weeks ago 13
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়া অনেক বড় অপরাধ। এসব অমুক্তিযোদ্ধাদের নাম প্রত্যাহারের সুযোগ দেওয়া হবে। যদি তা না করে, আদালতের কাছ থেকে যখন ভুয়া বিষয়টি নিশ্চিত হবে তখন তাদের সনদ বাতিলই নয়, একই সঙ্গে তাদের সাজার ব্যবস্থাও করবে সরকার।  বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।  তিনি বলেন, বহু অভিযোগ আছে। অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও তালিকাভুক্ত হয়েছেন এবং সব সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। এটা জাতির সঙ্গে প্রতারণা। আদালত নির্ণয়ের পর এদের সাজার ব্যবস্থা করা হবে। এদের শাস্তি পাওয়া উচিত। নানা রকমের তালিকা এখানে আছে। একটু সময় তো লাগবেই। আমাদের চেষ্টা থাকবে সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা যেন ক্ষুণ্ণ না হয়। উপদেষ্টা জানান, মন্ত্রণালয় থেকে ভাতাপ্রাপ্ত মোট বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১ লাখ ৯৬ হাজার ৪৫৪ জন। এর মধ্যে বীরাঙ্গনা ৪৬৪ জন। যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ৫ হাজার ৮৯৫ জন, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ৫ হাজার ৩৩৩ জন এবং খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৩৬৮ জন। সব মিলিয়ে মোট ভাতাপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ৮ হাজার ৫০ জন। তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্তদের সর্বমোট সংখ্যা ৮৯ হাজার ২৩৫ জন। আর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সংখ্যা ৫৬০ জন। এক প্রশ্নের জবাবে ফারুক ই আজম বলেন, রাজাকারের তালিকা আমার কাছে নেই। কোনো ফাইল পাইনি। মন্ত্রণালয়েও এ বিষয়ে নথি নাই। তালিকা করতে চাইলেও করা যাবে না। এভাবে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা এখন করা সম্ভব না। এটা অত্যন্ত দুরূহ কাজ। ৫০ বছর আগের ঘটনা এখন কে কোথায় আছেন, এটা বের করা অনেক দুরূহ।
Read Entire Article