ভুয়া সনদ দেখিয়ে চাকরি, কুবির প্রভাষককে বহিষ্কার

ভুয়া অভিজ্ঞতার সনদপত্র দেখিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক আবু ওবায়দা রাহিদকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাকে অস্থায়ীভাবে ক্যাম্পাসে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রমতে, বহিষ্কৃত শিক্ষক আবু ওবায়দা রাহিদ ২০২৩ সালের ২৯ জানুয়ারি প্রভাষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগে নিয়োগ পান। ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালা অনুযায়ী যোগ্যতার শর্ত পূরণ না করা সত্ত্বেও তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মঈন কর্তৃক নিয়মবহির্ভূতভাবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই সময় যোগ্যতার শর্ত শিথিলতার জন্য কুমিল্লার সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক পদে ২০১৬ সালের ২৫ নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ৬ বছর শিক্ষকতা করার একটি ভুয়া সনদ দাখিল করেন তিনি। এনিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি ঘট

ভুয়া সনদ দেখিয়ে চাকরি, কুবির প্রভাষককে বহিষ্কার

ভুয়া অভিজ্ঞতার সনদপত্র দেখিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক আবু ওবায়দা রাহিদকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাকে অস্থায়ীভাবে ক্যাম্পাসে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রমতে, বহিষ্কৃত শিক্ষক আবু ওবায়দা রাহিদ ২০২৩ সালের ২৯ জানুয়ারি প্রভাষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগে নিয়োগ পান। ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালা অনুযায়ী যোগ্যতার শর্ত পূরণ না করা সত্ত্বেও তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মঈন কর্তৃক নিয়মবহির্ভূতভাবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই সময় যোগ্যতার শর্ত শিথিলতার জন্য কুমিল্লার সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক পদে ২০১৬ সালের ২৫ নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ৬ বছর শিক্ষকতা করার একটি ভুয়া সনদ দাখিল করেন তিনি।

এনিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি ঘটন করে। ওই কমিটি প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়েছে। পরে তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং সমায়িকভাবে ক্যাম্পাসে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অভিযোগগুলো পুনরায় তদন্তে একটি ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চতর তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে আবু ওবায়দা রাহিদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, তদন্ত কমিটি অভিযোগগুলোর সত্যতা পেয়েছে। সে অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া। ২০১৮-এর চাকুরির বিধিমালা অনুসরণ করে বাকি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।

জাহিদ পাটোয়ারী/এফএ/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow