ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে প্রাণ হারালেন বাংলাদেশি

2 hours ago 3

উত্তর আফ্রিকার উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি পৌঁছানোর চেষ্টারত এক বাংলাদেশি মারা গেছেন। সাগর পাড়ি দিতে যে নৌকায় তিনি চড়ে বসেছিলেন, সেটি লাম্পেদুসা পর্যন্ত পৌঁছালেও ওই বাংলাদেশি পৌঁছেছেন প্রাণহীন দেহে।

যাত্রাপথেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার নাম, পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

সোমবার রাতে ইতালির লাম্পেদুসা উপকূলে আসা ১০ মিটার দীর্ঘ একটি নৌকা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করেন দেশটির কোস্টগার্ড এবং ফিনান্সিয়াল পুলিশের সদস্যরা। ওই নৌকায় থাকা আরও ৫১ জন অভিবাসীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষের ধারণা, সম্ভবত অভিবাসীবাহী নৌকাটির হাইড্রোকার্বন বা জ্বালানির বিষাক্ত ধোঁয়ায় নিশ্বাস বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কালা পিসানার মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন এলেই তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

যেসব অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে আছেন মিশরীয়, বাংলাদেশি, ইরিত্রীয়, ইথিওপীয়, সিরীয় এবং সুদানের নাগরিকেরা। এদের মধ্যে দুইজন নারী এবং একজন অপ্রাপ্তবয়স্কও আছেন।

সোমবার রাতে লাম্পেদুসার ফাভারোলো জেটিতে নামার পরপরই অভিবাসীরা জানান, উদ্ধারকারীরা আসার আগে তাদের একজন সঙ্গী সমুদ্রে পড়ে যান এবং তাকে আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের দক্ষিণ ইতালির ইমব্রিয়াকোলা জেলার অভিবাসন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ইতালি সরকারের নেওয়া কঠোর পদক্ষেপের কারণে দেশটিতে ২০২৪ সাল থেকে অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা কমেছে।

ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫ সালে অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।

২০২৪ সালের শুরু থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইতালিতে সমুদ্রপথে আসা অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার ৯৯৯ জন। কিন্তু এ বছরের একই সময়ে তা কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৪৩ হাজার ৮৬০ জন।

তবে ২০২৩ সালে একই সময়ে রেকর্ড এক লাখ ১৪ হাজার ৮৬৭ জন অভিবাসী এসেছিলেন।

চলতি বছর আসা অভিবাসীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশিরা। ১৩ হাজার ২৭১ জন বাংলাদেশি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে পৌঁছেছেন। এরপরেই আছে ইরিত্রিয়া। দেশটির পাঁচ হাজার ৮১১ জন নাগরিক পৌঁছেছেন ইতালিতে। আর এরপরে আছে মিশর, পাকিস্তান, সুদান, ইথিওপিয়া ও সোমালিয়ার নাম।

এমআরএম/এএসএম

Read Entire Article