ভূমিকম্প দুর্যোগে পরিণত হয়েছে শাসকদের অদক্ষতায়: পীর চরমোনাই
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ভূমিকম্প মহান আল্লাহর নির্ধারিত একটি প্রাকৃতিক বিষয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ জনদুর্ভোগ লাঘবে প্রযুক্তি ও পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনাকে কাজে লাগায়। কিন্ত এই প্রাকৃতিক বিষয়টিই আমাদের জন্য দুর্যোগে পরিণত হয়েছে শাসকদের অদক্ষতা, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে। তিনি বলেন, দেশের কোনো একটা শহরও পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হয় নাই। অথচ পৌরসভা, সিটি করপোরেশন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ সরকারের নানা সংস্থা রয়েছে যাদের কাজই হলো নগর-শহরকে পরিকল্পনামাফিক নিরাপদ করে গড়ে তোলা। রোববার (২৩ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এসব মন্তব্য করেন। রেজাউল করীম বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য যে, সরকারের এত এত প্রতিষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও আমাদের শহরগুলো আজ মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। আর এর দায় অতীতে রাষ্ট্র পরিচালনাকারী সবাইকেই নিতে হবে। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, জাপানের মতো দেশ ভূমিকম্প প্রবণ। কিন্তু পরিকল্পনা, প্রযুক্তি ও শৃঙ্খলার কারণে ভূমিকম্প থেকে নিরাপদ। আর অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে আমাদের নিরাপদ রাজধানী আজ ভূমিকম্পে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। সাম্প্রতিক ভ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ভূমিকম্প মহান আল্লাহর নির্ধারিত একটি প্রাকৃতিক বিষয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ জনদুর্ভোগ লাঘবে প্রযুক্তি ও পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনাকে কাজে লাগায়। কিন্ত এই প্রাকৃতিক বিষয়টিই আমাদের জন্য দুর্যোগে পরিণত হয়েছে শাসকদের অদক্ষতা, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে।
তিনি বলেন, দেশের কোনো একটা শহরও পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হয় নাই। অথচ পৌরসভা, সিটি করপোরেশন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ সরকারের নানা সংস্থা রয়েছে যাদের কাজই হলো নগর-শহরকে পরিকল্পনামাফিক নিরাপদ করে গড়ে তোলা।
রোববার (২৩ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
রেজাউল করীম বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য যে, সরকারের এত এত প্রতিষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও আমাদের শহরগুলো আজ মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। আর এর দায় অতীতে রাষ্ট্র পরিচালনাকারী সবাইকেই নিতে হবে।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, জাপানের মতো দেশ ভূমিকম্প প্রবণ। কিন্তু পরিকল্পনা, প্রযুক্তি ও শৃঙ্খলার কারণে ভূমিকম্প থেকে নিরাপদ। আর অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে আমাদের নিরাপদ রাজধানী আজ ভূমিকম্পে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। সাম্প্রতিক ভূমিকম্প নাগরিকদের মনে আতঙ্ক তৈরি করেছে। মানুষ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। এমন বাস্তবতায় সরকারকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতার সঙ্গে ঝুঁকি নিরূপণ করতে হবে। সেজন্য, দেশের ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, গবেষকদের সঙ্গে বিদেশি পরামর্শকদের সংযুক্ত করে হলেও ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে তা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। পুনর্বাসনের দায় রাষ্ট্রকেই বহন করতে হবে; কারণ রাষ্ট্রের অবহেলা, দুর্নীতি ও অদক্ষতার কারণেই এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন তৈরি হয়েছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, ভূমিকম্পসহ যে কোনো দুর্যোগের পরে সরকারি নানা সংস্থা নড়েচেড়ে বসে। আমরা চাই, সরকারের সংস্থাগুলো এখনই সক্রিয় হোক। আল্লাহ না করুন, যে কোনো ধরণের আপদে যেন দ্রুততার সঙ্গে উদ্ধার কাজ শুরু করা যায়।
তিনি আরও বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি দৃশ্যমান করতে হবে এবং নাগরিকদের আশ্বস্ত করতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির এ সময় জনতার উদ্দেশে বলেন, আল্লাহর রহমত ছাড়া বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার কোনো উপায় নাই। সেজন্য তওবা, ইস্তেগফারের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে।
এমএইচএ/এএমএ
What's Your Reaction?