ভূমিকম্পে আটকে পড়লে কী করবেন
ঢাকায় ৫.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদীতে। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সসহ ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা বহুদিন ধরেই সতর্ক করে আসছেন-বাংলাদেশ যেকোনো সময় বড় মাত্রার ভূমিকম্পের সম্মুখীন হতে পারে। ভূমিকম্প যে কোনো সময় হতে পারে এবং আগেভাগে সঠিকভাবে অনুমান করা প্রায় অসম্ভব। তাই প্রয়োজন আগে থেকেই সচেতনতা ও প্রস্তুতি নেওয়া। আর যদি ভূমিকম্পের পর ধ্বংসাবশেষে আটকে পড়েন, তাহলে আরও বেশি সতর্কতার সঙ্গে প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে হবে। ১. শান্ত থাকুন এবং শব্দ করে অবস্থান জানানভয় না পেয়ে শান্ত থাকুন এবং জরুরি উদ্ধারকারী দলের জন্য অপেক্ষা করুন। তাদের কাছে নিজের অবস্থান জানানোর চেষ্টা করুন। পাইপ বা দেয়ালে টোকা দিন, যাতে উদ্ধারকারীরা আপনাকে সহজে খুঁজে পেতে পারে। সম্ভব হলে বাঁশি ব্যবহার করে শব্দ করুন, এতে বাইরে সংকেত পৌঁছাতে সুবিধা হবে। ২. চিৎকার কম করুনঅযথা চিৎকার করা থেকে বিরত থাকুন। এতে আপনার শ্বাসকষ্ট ও শক্তির অপচয় হতে পারে। তাই শুধুমাত্র শেষ উপায় হিসেবে চিৎকার করুন, যখন অন্য কোনোভাবে সংকেত দেওয়ার সুযোগ না থাকে। ৩. বেশি নড়াচড়া না করাধ্বংসস্তূপ বা ভাঙা দেয়ালের নিচে চ
ঢাকায় ৫.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদীতে। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সসহ ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা বহুদিন ধরেই সতর্ক করে আসছেন-বাংলাদেশ যেকোনো সময় বড় মাত্রার ভূমিকম্পের সম্মুখীন হতে পারে।
ভূমিকম্প যে কোনো সময় হতে পারে এবং আগেভাগে সঠিকভাবে অনুমান করা প্রায় অসম্ভব। তাই প্রয়োজন আগে থেকেই সচেতনতা ও প্রস্তুতি নেওয়া। আর যদি ভূমিকম্পের পর ধ্বংসাবশেষে আটকে পড়েন, তাহলে আরও বেশি সতর্কতার সঙ্গে প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে হবে।
১. শান্ত থাকুন এবং শব্দ করে অবস্থান জানান
ভয় না পেয়ে শান্ত থাকুন এবং জরুরি উদ্ধারকারী দলের জন্য অপেক্ষা করুন। তাদের কাছে নিজের অবস্থান জানানোর চেষ্টা করুন। পাইপ বা দেয়ালে টোকা দিন, যাতে উদ্ধারকারীরা আপনাকে সহজে খুঁজে পেতে পারে। সম্ভব হলে বাঁশি ব্যবহার করে শব্দ করুন, এতে বাইরে সংকেত পৌঁছাতে সুবিধা হবে।
২. চিৎকার কম করুন
অযথা চিৎকার করা থেকে বিরত থাকুন। এতে আপনার শ্বাসকষ্ট ও শক্তির অপচয় হতে পারে। তাই শুধুমাত্র শেষ উপায় হিসেবে চিৎকার করুন, যখন অন্য কোনোভাবে সংকেত দেওয়ার সুযোগ না থাকে।
৩. বেশি নড়াচড়া না করা
ধ্বংসস্তূপ বা ভাঙা দেয়ালের নিচে চাপা পড়লে অতি নড়াচড়া থেকে বিরত থাকুন। এতে ধ্বংসাবশেষ সরে গিয়ে আরও আঘাত বা ক্ষতির ঝুঁকি বাড়তে পারে। শান্ত থেকে শরীর যতটা সম্ভব স্থির রাখাই সবচেয়ে নিরাপদ।
৪. মুখ ঢেকে রাখুন
ধুলাবালি ও ক্ষতিকর কণা যাতে শ্বাসতন্ত্রে প্রবেশ না করে, সেজন্য কাপড়, রুমাল বা স্কার্ফ দিয়ে মুখ ও নাক ভালোভাবে ঢেকে রাখুন।
ভূমিকম্পের পরে করণীয়
ভূমিকম্পের পরে, যদি ঘর খুব ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সতর্কভাবে ঘরে ফিরে যান। গ্যাস লাইন লিক হয়েছে কিনা নিশ্চিত না হলে চুলা ব্যবহার করবেন না এবং সতর্কবার্তা শুনে আরও ভূমিকম্পের ঝুঁকি আছে কিনা যাচাই করুন। ধ্বংসাবশেষের ওপর খালি পায়ে বা পাতলা জুতা পরে হাঁটবেন না। বাড়ি যদি ক্ষতিগ্রস্ত বা নিরাপদ না হয়, সেখানে অবস্থান করবেন না। মোমবাতির পরিবর্তে ফ্ল্যাশলাইট ব্যবহার করুন এবং বৈদ্যুতিক সুইচ অন করার আগে বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করে নিশ্চিত হোন, কারণ বিদ্যুৎ সংযোগে বিস্ফোরণের ঝুঁকি থাকতে পারে। সর্বশেষে, আপনার প্রিয়জনকে জানান যে আপনি নিরাপদে আছেন।
সূত্র : বিবিসি বাংলা, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর
আরও পড়ুন:
প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসার কী? জানুন লক্ষণ ও সাবধানতার উপায়
আপেলের বীজ চিবিয়ে খাওয়া কতটা বিপজ্জনক?
এসএকেওয়াই/এমএস
What's Your Reaction?