ভেজাল দুধ গ্রহণ না করায় সরবরাহকারীরাই পাবনার চাটমোহরে গুনাইগাছার প্রাণ ডেইরি মাদার সেন্টারের ইনচার্জ সিরাজুল ইসলামের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সেন্টারটির আঞ্চলিক কর্মকর্তারা।
এ ঘটনায় রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে চাটমোহর থানায় একটি মামলা হয়েছে। প্রাণ ডেইরির মাদার প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএলের সেন্ট্রাল প্রোটেকশন অফিসার শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এতে দুজন ভেজাল দুধ সরবরাহকারীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার ভবানীপুর এলাকার মৃত খোরশেদ মোল্লার ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪৮) ও একই উপজেলার ভাঙ্গুড়া বাজারের মৃত ধনি উল্লাহর ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৫০)। তারা দুজনই চাটমোহর গুনাইগাছার প্রাণ ডেইরি মাদার সেন্টারে দুধ সরবরাহ করতেন।
আরও পড়ুন
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা প্রাণ ডেইরি মাদার সেন্টারে নিয়মিত গরুর দুধ সরবরাহ করতেন। কিন্তু বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশ্রিত থাকায় তাদের সরবরাহকৃত দুধ রিজেক্ট করেন প্রাণ ডেইরি মাদার সেন্টারের ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে সিরাজুলকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। শুক্রবার (২২ আগস্ট) কাজ শেষ করে মোটরসাইকেলে করে বাসায় ফিরছিলেন সিরাজুল ইসলাম। পথে রাত ১১টার দিকে সেন্টারের পাশে চাটমোহর-বাঘাবাড়ি মহাসড়কে উঠতেই তার ওপর হামলা চালানো হয়। এসময় আবুল কালাম আজাদসহ অভিযুক্তরা লোহার রড, কাঠের বাটাম ও বাঁশের লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন।
এ বিষয়ে চাটমোহর গুনাইগাছা প্রাণ ডেইরি মাদার সেন্টারের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শরীফ উদ্দিন তরফদার বলেন, ‘২ নম্বর অভিযুক্তের দুধে ভেজাল পাওয়ায় সপ্তাহ দুয়েক আগে এবং ১ নম্বর অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদের দুধ ঘটনার দিনও রিজেক্ট করা হয়। তাদের কোডও (নিবন্ধন) বাতিল করা হয়। এসব ঘটনার জেরে তারা আমাদের ইনচার্জের ওপর আক্রমণ চালান। এ বিষয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে। দ্রুত গ্রেফতার করে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
চাটমোহর থানার ওসি মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার চেষ্টাসহ অন্যান্য কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।’
আলমগীর হোসাইন নাবিল/এসআর/জিকেএস