ভোট সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে জানানো হলো কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলকে

3 hours ago 2

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সার্বিক বিষয়ে বাংলাদেশ সফররত কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলকে জানানো হয়েছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবের সঙ্গে বৈঠকে তাদের এসব তথ্য জানানো হয়।

কমনওয়েলথের নির্বাচন সহায়তা বিভাগের উপদেষ্টা ও সংস্থার প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশনের প্রধান লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এ বৈঠক করেন। দলে ছিলেন সংস্থার দিনুষা পণ্ডিতরত্নে, ন্যান্সি কানিয়াগো, সার্থক রায় ও ম্যাডোনা লিঞ্চ। বৈঠকে তারা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরের নিরাপত্তা পরিস্থিতির বিষয়ে জোর দেন।

আগামী বছর রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচন হবে। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত রোডম্যাপ ধরে প্রস্তুতিমূলক কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে।

কমনওয়েলথের প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশনের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠক শেষে আলোচনার বিষয়বস্তু তুলে ধরেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ। তিনি জানান, ভোট সামনে রেখে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে জানানো হয়েছে।

সচিব বলেন, কমনওয়েলথের প্রতিনিধিদল নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচনের পরেও আসতে চাইবে। তারা পোস্টাল ভোটিং পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে যে এটা কীভাবে করা হবে। কোথাও ঝামেলা হলে কীভাবে সামাল দেওয়া হয় তাও জানতে চেয়েছে। জবাবে দলটিকে জানানো হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুসারে নির্বাচন পরিচালনা বিধি, আচরণবিধি, ইসির নেতৃত্বে পাঁচটি কমিটি ও আদালতের নির্দেশনা মেনে সব ধরনের অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়।

আরও পড়ুন
কমনওয়েলথের প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন বাংলাদেশে
দল নিবন্ধন ও ‘শাপলা’ প্রতীক নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এ সপ্তাহেই
ভোটের আগে-পরে ৮ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: ইসি সচিব

সচিব জানান, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ কীভাবে গ্রহণ করা হয়েছে এবং কী কী কাজ করা হয়েছে তার অগ্রগতিও বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে। কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী আরপিও থেকে শুরু করে আচরণবিধি, বিভিন্ন আইন-বিধি সংশোধন করা হয়েছে। সবশেষ বৃহস্পতিবার আরপিও সংশোধনও করা হয়েছে।

আখতার আহমেদ বলেন, প্রতিনিধিদলটি নিরাপত্তার বিষয়গুলো, কোন স্তরে কীভাবে কী করা হবে তা জানতে চেয়েছে। জবাবে ইসি জানিয়েছে, তাদের সঙ্গে যারা নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছেন তাদের নিয়মিত যোগাযোগ ও আলোচনা চলছে। এটি পর্যায়ক্রমিকভাবে করা হবে।

সচিব বলেন, প্রতিনিধিদলটি দুটি বিষয়ে আলোকপাত করেছে। একটি ভোটকেন্দ্র, আরেকটি পরিবেশগত। কেন্দ্রের বিষয়ে ইসি জানিয়েছে, সেখানে নিরাপত্তার জন্য ১৪ থেকে ১৮ জনের দল কাজ করে। বাইরের নিরাপত্তা সার্বিকভাবে প্রশাসনিক, যা পুলিশের এখতিয়ারাধীন।

বৈঠকে লোকবলের প্রশিক্ষণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার রোধ, মিথ্যা তথ্যসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়। পরবর্তীতে সহায়তার সুযোগ থাকলে আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে এসময় জানানো হয়।

এমওএস/একিউএফ/জিকেএস

Read Entire Article