ভ্যাম্পায়ার দাঁত ট্রেন্ডে সৌন্দর্যের অন্য রূপ

ভ্যাম্পায়ার শব্দটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে তীক্ষ্ণ, সূঁচালো দাঁত। ১৮ শতকের পশ্চিমা লোককাহিনি থেকে উঠে আসা এই রক্তচোষা অমর চরিত্রকে কেন্দ্র করে ‘টোয়াইলাইট’, ‘ট্রু ব্লাড’, ‘দ্য ভ্যাম্পায়ার ডায়েরিজ’-এর মতো জনপ্রিয় সিনেমা ও টিভি সিরিজ ভ্যাম্পায়ারদের প্রতি এক নতুন রকম আকর্ষণ তৈরি করেছে। সেই ঝলমলে নান্দনিকতা এখন ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও। তরুণীরা নিজেদের হাসিকে আরও অনন্য করে তুলতে বেছে নিচ্ছেন এই বিশেষ দাঁতের সাজসজ্জা, যা বর্তমানে বড় একটি ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। জাপানে এই ভ্যাম্পায়ার-স্টাইল দাঁতকে বলা হয় ‘ইয়েবা’ (Yaeba), যার অর্থ দাঁতের সামান্য বেঁকে থাকা বা তীক্ষ্ণ দেখানো সৌন্দর্য। এটি সেখানে ফ্যাশন ও নান্দনিকতার অংশ হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। রোগীর প্রাকৃতিক ক্যানাইন দাঁতের (বিশেষ করে উপরের দুই ক্যানাইন) উপর সিরামিক বা রেজিনের তৈরি কৃত্রিম দাঁত স্থাপন করা হয়। ফলে দাঁতটি স্বাভাবিকের তুলনায় একটু তীক্ষ্ণ ও সামনে বের হয়ে থাকে, যা অনেকেই কিউট বা স্টাইলিশ বলে মনে করেন। এখানেও ভ্যাম্পায়ার দাঁত তৈরি করা হয় প্রাকৃতিক দাঁতের ক্যানাইন অংশ সামান্য তীক্ষ্ণ করে বা ডেন্টাল বন্ডিংয়ের মাধ্যমে

ভ্যাম্পায়ার দাঁত ট্রেন্ডে সৌন্দর্যের অন্য রূপ

ভ্যাম্পায়ার শব্দটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে তীক্ষ্ণ, সূঁচালো দাঁত। ১৮ শতকের পশ্চিমা লোককাহিনি থেকে উঠে আসা এই রক্তচোষা অমর চরিত্রকে কেন্দ্র করে ‘টোয়াইলাইট’, ‘ট্রু ব্লাড’, ‘দ্য ভ্যাম্পায়ার ডায়েরিজ’-এর মতো জনপ্রিয় সিনেমা ও টিভি সিরিজ ভ্যাম্পায়ারদের প্রতি এক নতুন রকম আকর্ষণ তৈরি করেছে।

সেই ঝলমলে নান্দনিকতা এখন ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও। তরুণীরা নিজেদের হাসিকে আরও অনন্য করে তুলতে বেছে নিচ্ছেন এই বিশেষ দাঁতের সাজসজ্জা, যা বর্তমানে বড় একটি ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে।
জাপানে এই ভ্যাম্পায়ার-স্টাইল দাঁতকে বলা হয় ‘ইয়েবা’ (Yaeba), যার অর্থ দাঁতের সামান্য বেঁকে থাকা বা তীক্ষ্ণ দেখানো সৌন্দর্য। এটি সেখানে ফ্যাশন ও নান্দনিকতার অংশ হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। রোগীর প্রাকৃতিক ক্যানাইন দাঁতের (বিশেষ করে উপরের দুই ক্যানাইন) উপর সিরামিক বা রেজিনের তৈরি কৃত্রিম দাঁত স্থাপন করা হয়। ফলে দাঁতটি স্বাভাবিকের তুলনায় একটু তীক্ষ্ণ ও সামনে বের হয়ে থাকে, যা অনেকেই কিউট বা স্টাইলিশ বলে মনে করেন।

এখানেও ভ্যাম্পায়ার দাঁত তৈরি করা হয় প্রাকৃতিক দাঁতের ক্যানাইন অংশ সামান্য তীক্ষ্ণ করে বা ডেন্টাল বন্ডিংয়ের মাধ্যমে নতুন আকার দিয়ে। সাধারণত ক্যানাইন দাঁতে বিশেষ উপাদান ব্যবহার করে ন্যাচারাল শেপ বজায় রেখে দাঁতে ভ্যাম্পায়ার দাঁতের লুক দেওয়া হয়। এতে হাসি আরও শার্প, আকর্ষণীয় এবং স্টাইলিশ দেখায়। অনেকের ক্যানাইন দাঁত স্বাভাবিকভাবে ফ্ল্যাট হওয়ায় সেগুলো তেমন চোখে পড়ে না। ভ্যাম্পায়ার দাঁত করালে দাঁতটি তীক্ষ্ণ দেখায়, ফলে পুরো হাসিতেই আসে নতুন এক মাত্রা।

টি মূলত রূপসজ্জার অংশ-নিজেকে আলাদা ও ফ্যাশনেবলভাবে তুলে ধরার একটি উপায়। তাই অনেকেই দাঁতের অলংকার হিসেবে সোনা, রত্ন বা বিশেষ পাথর ব্যবহার করেন, যাতে হাসি আরও সুন্দর দেখায়।

ভ্যাম্পায়ার দাঁত ট্রেন্ডে সৌন্দর্যের অন্য রূপ

ভ্যাম্পায়ার দাঁত কতদিন থাকে, তা নির্ভর করে পদ্ধতির ওপর। ডেন্টাল বন্ডিং (রেজিন) দিয়ে করা ভ্যাম্পায়ার দাঁত সাধারণত ৬ মাস থেকে ১ বছর স্থায়ী হয়। আর যদি সিরামিক দাঁত বা ভিনিয়ার ব্যবহার করা হয়, তবে তা ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত টেকে এবং আরও স্বাভাবিক ও টেকসই ফল দেয়।

তবে এ ধরনের সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, ডেন্টাল পরিবর্তন করাতে গেলে নিশ্চিত হতে হবে যে চিকিৎসক সত্যিকারের দক্ষ কিনা, না হলে ভুল হাতে গেলে দাঁতের স্থায়ী ক্ষতি, সংক্রমণ বা ব্যথা- সব ধরনের ঝুঁকি থেকেই যায়।

এ ধরনের দাঁতের সৌন্দর্যচর্চা ব্যয়বহুলও হতে পারে এবং নিয়মিত যত্নের প্রয়োজন পড়ে। একই সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে, দাঁত শরীরের অন্য ইন্দ্রিয় ও স্নায়ুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত।

তাই ভ্যাম্পায়ার দাঁত করানোর আগে নিজের সামগ্রিক শারীরিক অবস্থাও বিবেচনায় নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

সূত্র: বিবিসি , জাপান টুডে ও অন্যান্য

আরও পড়ুন
শীতে রুক্ষ হাত-পায়ের যত্নের সেরা সময় রাতের কেয়ার
কমলা খেয়ে খোসা না ফেলে মুখে মাখবেন যে কারণে

এসএকেওয়াই/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow