প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্বিত করে মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের মতো আর একটা জালে যেন আপনি না পড়েন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভোটাধিকারবঞ্চিত জনগণ এখন ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে রয়েছে। তাই অবিলম্বে রোডম্যাপ ঘোষণা করুন।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের দেশবিরোধী চক্রান্তের প্রতিবাদে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ফারুক বলেন, যারা দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল, যারা আয়নাঘরে নিয়ে নির্যাতন করেছে, হারুন-বিপ্লব যারা ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে থামানোর জন্য হত্যা করেছে, তাদেরকে এখনো কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি? দেশবাসী তা জানতে চায়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের দায়িত্ব অনেক। কারো কথা শুনে দায় আপনাদের ঘাড়ে নেবেন না। ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসরদের যদি না সরান, শুধু আগুন নয়- আরও ষড়যন্ত্র খেলা খেলতে পারে তারা। তাই এদেরকে সরাতে হবে। অবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ দিন। নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া সংস্কার সম্পূর্ণ হবে না। সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্বিত করে মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের মতো আরেকটা জালে যেন আপনি না পড়েন।
সাবেক বিরোধীদলীয় এই চিফ হুইপ বলেন, মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন বিদেশে বসে শেখ হাসিনার সঙ্গে চুক্তি করে ২০০৮ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনে। বিএনপিকে কয়েকটা আসন দেয়। আরও অনেক কথা রয়েছে, সব বলব। ড. ইউনূস সাহেব, এই কথাগুলো সংসদে বলার জন্য অতি দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন।
তিনি বলেন, আমরা ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ সালের মতো নির্বাচন চাই না। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন- এমন নির্বাচন চাই, যে নির্বাচনে মৃত ব্যক্তিরা ভোট দেবে না, রাতে ভোট হবে না, যার ভোট সে দেবে, পছন্দমতো প্রার্থীকে বিজয়ী করবে। এমন নির্বাচন চাই, যে নির্বাচনে ১৫২ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবে না।
সরকারের উদ্দেশে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হলে অনতিবিলম্বে জনগণের প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যবস্থা করুন। নির্বাচনের তারিখ ঠিক করুন, নির্বাচন দিন।
সংগঠনের সভাপতি মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে এবং কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল্লাহ আল নাঈমের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন কৃষক দলের দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কাদের সিদ্দিকী, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাসুক মিয়া, মৎস্যজীবী দলের ইসমাইল হোসেন সিরাজী, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমু, পল্টন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আলম পাটোয়ারী প্রমুখ।