পূর্ব-পশ্চিম নাট্যাঙ্গন মঞ্চায়ন করছে দর্শকনন্দিত নাটক ‘অগ্নি দর্পণ’। নাটকটি এক সময়ের রাজনৈতিক বাস্তবতা, পারিবারিক দ্বন্দ্ব এবং আদর্শের শূন্যতা ও সংগ্রামের এক দৃঢ় প্রতিচ্ছবি।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে দলের চতুর্থ প্রযোজনাটির মঞ্চায়ন হবে। নাট্যকার চন্দন সেন রচিত এই নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন জনি মাহমুদ।
নাটকটি মূলত আশির দশকে বাংলাদেশে বামপন্থী রাজনীতি ও সরকার কর্তৃক চালানো দমন-পীড়নের পটভূমিতে নির্মিত। বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এক আদর্শবাদী তরুণ নীলেন্দ্র সান্যাল এর মুখ্য চরিত্র। তার বাবা নিজেই জেলার সর্বোচ্চ পুলিশ কর্মকর্তা-বিনায়ক সান্যাল। ছেলের আদর্শ আর বাবার কর্তব্যের দ্বন্দ্বে জন্ম নেয় এক করুণ ট্র্যাজেডি।
হুলিয়া মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়ানো এক বিপ্লবী সন্তানের কাছে সংগঠনের মিশন-নিজের বাবাকে হত্যা-পৃথক এক যন্ত্রণার নাম। আর এক মায়ের কাছে সন্তান ফিরে আসার আনন্দও ম্লান হয়ে যায় সেই অমানবিক বাস্তবতায়। আদর্শ বনাম আত্মিক টানাপোড়েনের এই রূঢ় বাস্তবতাই ‘অগ্নি দর্পণ’-এর মূল সুর।
নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনি মাহমুদ, ফারুক হোসেন, তিথি রানী পূজা, শেখর সিরাজ, ওবায়েদুল্লাহ গালিব, রবীন্দ্র দাশ, রিজভি, মনজিল হোসেন ও সাগর শীল। আবহ সংগীতে আছেন অনিক ইসলাম, পোশাকে-মনজিল হোসেন, আলো নির্দেশনায় -ফারুক হোসেন, রূপসজ্জায় -খলিলুর রহমান।
এলআইএ/জেআইএম