রাজশাহীতে মদপানে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় মারা গেছেন তিনজন। আর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন একজন।
মোহনপুরে মদপানে অসুস্থ হয়ে পড়া আরও চারজন রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মারা যাওয়া তিনজনের সঙ্গে তারা মদপান করেছিলেন।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাত পর্যন্ত মারা গেছেন চারজন।
মারা যাওয়া চার ব্যক্তি হলেন- মোহনপুর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের মো. টোটন (৪০), একই গ্রামের মোন্তাজ আলী (৪০) ও করিশা গ্রামের মো. জুয়েল (৩৫)। রামেক হাসপাতালে মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম আতোয়ার হোসেন (৩৫), তার বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলার গণেশপুরে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চারজন হলেন- মোহনপুর উপজেলার দুর্গাপুর কাচারিপাড়া গ্রামের আকবর আলী (৪৩), দুর্গাপুর শাহপাড়া গ্রামের মো. ফিরোজ (২৬), দুর্গাপুর মোন্নাপাড়া গ্রামের মো. পিন্টু (২৫) ও দুর্গাপুর খাঁ পাড়া গ্রামের মো. মোনায়েম (২৫)। তারা সাতজন একসঙ্গে মদপান করেছিলেন।
রামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার ফারুক হোসেন জানান, মদপান করে অসুস্থ হয়ে পড়া আতোয়ারকে বুধবার রাত ১২টা ৮ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়। এর ৮ মিনিট পর তিনি মারা যান। পরে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে পুলিশ স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে।
এদিকে মোহনপুর থানার ওসি আবদুল হাননান কালবেলাকে জানান, মোহনপুরের সাতজন গত মঙ্গলবার রাতে এলাকায় মদ পান করেন। এরপর বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়। অন্য চারজনকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি জানান, টোটন ও জুয়েল মদ বিক্রি করতেন। অন্যদের সঙ্গে তারাও পান করেছিলেন। এ দুজন বাড়িতেই মারা যান। পুলিশ খবর পাওয়ার আগেই তাদের মরদেহ স্বজনেরা দাফন করে দেন। বৃহস্পতিবার মোন্তাজের মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। পরে মরদেহ স্বজনদের হস্তান্তর করা হয়।
ওসি জানান, এ ব্যাপারে মোন্তাজ আলীর ছেলে বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত মাদক ব্যবসায়ীদের আসামি করা হয়েছে। তদন্ত করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।