দুই কমিটির দ্বন্দ্বে মসজিদে তালাবদ্ধ থাকায় রাস্তায় পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন একপক্ষের মুসল্লিরা। এ ঘটনায় এলাকার মুসল্লিদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ওই ইউনিয়নের উত্তর গোবধা গ্রামের শঠিবাড়ী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মুসল্লিরা জুমার নামাজ আদায় করেন সড়কে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের উত্তর গোবধা গ্রামের শঠিবাড়ী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অর্ধশত বছর ধরে ওয়াক্তিয়া মসজিদ হিসেবে শুধু ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে আসছিল মুসল্লিরা। পরবর্তী সময়ে মুসল্লির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত প্রায় এক বছর ধরে ওই মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ শুক্রবারের জুমার নামাজ আদায় করে আসছেন মুসল্লিরা।
এদিকে বেশ কিছুদিন ধরে পার্শ্ববর্তী উত্তর গোবধা বাইতুন্নুর জামে মসজিদ কমিটি ও মুসল্লিরা ওই শঠিবাড়ী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নামাজ আদায়ে বাধা দেয়। তাদের দাবি মসজিদ থাকবে একটি, সেই মসজিদেই জুমার নামাজ হবে। নতুন করে কোনো মসজিদ করা যাবে না। একপর্যায়ে তারা গত শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) উত্তর গোবধা বাইতুন নূর জামে মসজিদের মুসল্লিরা এসে ওই শঠিবাড়ী বাজার মসজিদে জোর করে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ সময় বাধা দিতে এসে দুই মুসল্লি আহতও হয়।
এর আগে, এই ঘটনায় স্থানীয় সেনা-ক্যাম্প কমান্ডার বরাবর অভিযোগ দাখিল করলে গত ১৪ সেপ্টেম্বর উভয়পক্ষের মধ্যে আপস মীমাংসার মাধ্যমে স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম রব্বানীকে তালা খুলে দেওয়ার দায়িত্ব প্রদান করা হয়। কিন্তু তিনি মসজিদের তালা খুলে দেননি।
মসজিদে তালা ঝোলানোর ঘটনায় উত্তর গোবধাগ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে নকিবুল ইসলাম, নকিবুল ইসলামের ছেলে জসিম মিয়া, জিয়াউদ্দিন এবং জাহিদসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৭-৮ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে আদিতমারী থানায় একটি এজাহার দাখিল করা হয়েছে। এ ছাড়া লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক বরাবর দায়ের করা হয়েছে লিখিত অভিযোগ।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানার ওসি আলী আকবর কালবেলাকে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।