কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ব্যাঙের দোলা নামক বিলে মাছ চাষের জন্য বাঁধ নির্মাণ করায় প্রায় ২৫০ বিঘা আবাদি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে শতাধিক কৃষকের সদ্য রোপণকৃত আমন ধানের চারা পানিতে তলিয়ে নষ্ট হওয়ার পথে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম ছাট গোপালপুর গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে জুয়েল কয়েক বছর ধরে ব্যাঙের দোলা বিলে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন। অন্যদিকে একই এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে রেজাউল করিম ওই বিলে পানি নিষ্কাশনের দুটি সেতুর নিচেও বাঁধ দিয়ে রেখেছেন। ফলে দীর্ঘদিন ধরে বিলের পানি বের হতে না পেরে জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক নজির হোসেন, এনামুল হক, ফজলুল হক, আলম, হাসেম, আমিনুর ও রফিকুল জানান, জমি তলিয়ে যাওয়ায় তাদের রোপণকৃত ধান পচে নষ্ট হওয়ার পথে।
কৃষক নজির হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাঁধ দেওয়ায় আমার ৪ বিঘা জমির ধানের চারা পানির নিচে। এক গোছা ধানও হয়তো এবার ঘরে তুলতে পারব না। পরিবার নিয়ে খাবো কী?’
অভিযুক্ত জুয়েল বলেন, ‘বিলের প্রায় ৯০ ভাগ জমি আমাদের। তাই আমরা বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছি। আগেও পানি নিষ্কাশনের জন্য পাইপ বসাতে চেয়েছিলাম; কিন্তু এলাকাবাসী সে ব্যাপারে সাড়া দেয়নি।’
তিলাই ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান জানান, বাঁধ নির্মাণের কারণে তিনি সরেজমিন গিয়ে গ্রামপুলিশ দিয়ে একাধিকবার সেতুর নিচের বাঁধ ভেঙে দিয়েছেন। কিন্তু পুনরায় বাঁধ দেওয়ায় কৃষিজমিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সারোয়ার তৌহিদ বলেন, কৃষকদের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপ জন মিত্র বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।