বয়স মাত্র ১৫। কিন্তু বিলাসিতা ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা যেন রক্তে মিশে আছে তার। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো জুনিয়র—বিশ্বফুটবলের সর্বকালের সেরাদের একজনের পুত্র—ইতিমধ্যেই পা রাখলেন বাবার মতোই গাড়িপ্রেমের জগতে। আর প্রথম পদক্ষেপেই বেছে নিয়েছেন এক দানবীয় সৌন্দর্য—ল্যাম্বরগিনি উরাস এস (Lamborghini Urus S)।
জুনিয়র রোনালদো নিজেই খবরটি জানিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে। নিজের সাদা রঙের নতুন স্পোর্টস এসইউভির সামনে দাঁড়িয়ে তিনি লিখেছেন, “First car”—আমার প্রথম গাড়ি। মুহূর্তেই ভাইরাল সেই পোস্ট, ভরে গেছে অভিনন্দন আর অবাক মন্তব্যে।
তবে এই গাড়িটি একেবারে নতুন নয় বলেই ধারণা। ২০২৫ সালের সংস্কারিত মডেলের কিছু বৈশিষ্ট্য এতে অনুপস্থিত, যা থেকে বোঝা যাচ্ছে—সম্ভবত এটি বাবার সংগ্রহ থেকেই পাওয়া এক বিশেষ উপহার। আর সে যদি সত্যি হয়, তবে রোনালদো সিনিয়রের গ্যারেজ থেকে পুত্রের হাতে পৌঁছেছে এক দামী রত্ন। তিন বছর আগে এই উরাস এসের দামই ছিল প্রায় ২ লাখ ৬৫ হাজার ইউরো, অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা!
গাড়িটির ইঞ্জিনও কম নয়—৪.০ লিটার ভি৮ টুইন-টার্বো, যার শক্তি ৬৫০ হর্সপাওয়ার। মাত্র ৩.৫ সেকেন্ডে ০ থেকে ১০০ কিমি/ঘণ্টা গতি তোলে এই দানব, সর্বোচ্চ গতি ৩০৫ কিমি/ঘণ্টা। স্পষ্টতই—১৫ বছর বয়সের কারও হাতে চালানোর জন্য একটু বেশিই ‘দ্রুত’।
তবে আপাতত স্টিয়ারিং ধরার অনুমতি তার নেই। সৌদি আরবে আইন অনুযায়ী ১৮ বছর বয়সেই পূর্ণ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যায়। ১৭ বছর বয়সে কেবল অস্থায়ী পারমিটের আওতায় সীমিতভাবে শেখার সুযোগ রয়েছে, সেটাও প্রাপ্তবয়স্ক তত্ত্বাবধানে। অর্থাৎ এখনই হয়তো নিজের গাড়ি উপভোগ করবেন না, কিন্তু যেভাবে রোনালদো জুনিয়র ফুটবলের পাশাপাশি বাবার বিলাসী রুচির প্রতিও আগ্রহ দেখাচ্ছেন—তা স্পষ্ট এক প্রতীক।
রোনালদো সিনিয়রের মতোই, যিনি একসময় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলতে খেলতে নিজের প্রথম গাড়ি হিসেবে কিনেছিলেন অডি এস৩—আজ সেই পথেই পা বাড়াচ্ছেন তার ছেলে, তবে আরও বড় পদক্ষেপে।
মাঠে তিনি এখনও তরুণ, ক্যারিয়ার শুরুই হয়নি। কিন্তু জীবনের গতি যেন অনেকটাই বাবার মতো—দ্রুত, আড়ম্বরপূর্ণ, আলোচনার কেন্দ্রে। হয়তো ভবিষ্যতে রোনালদো জুনিয়রও মাঠে বল নিয়ে ছুটবেন ৩০৫ কিলোমিটার গতিতে—যেমন তার প্রথম গাড়ি পারে রাস্তায় ছুটতে।

8 hours ago
12









English (US) ·