রাজধানীর রমনা থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট এবং তার সহযোগী এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে আরও দুইজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
তারা হলেন- পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মুসা মিয়া ও ব্যবসায়ী শাহাদাত আলম।
রোববার (১৫ জুন) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মজুমদারের আদালতে সাক্ষী দেন তারা। আদালত মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৪ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে গত ৭ মে প্রথম সাক্ষী দেন মামলার বাদী র্যাব-১ এর তৎকালীন ডিএডি আব্দুল খালেক। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মাহফুজ হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তার আগে গত ৩০ জানুয়ারি ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মজুমদার আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ মামলার অভিযোগ গঠন করেন। এর ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়।
বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই দিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেওয়া হয়। ৭ অক্টোবর বিকেলে র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদক মামলা করেন।
২০২০ সালের ৬ নভেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক। ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর মাদক মামলায় সম্রাট এবং আরমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক আ. হালিম।
এমআইএন/এমএএইচ/এএসএম