মাদকের সেই এডি দিদারকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’

5 hours ago 7

কক্সবাজারে এক সাংবাদিককে মাদক মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগের সত্যতা প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ হওয়ায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (এডি) এ.কে.এম দিদারুল আলমকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ (তাৎক্ষণিক অবমুক্ত) করা হয়েছে।

রোববার (১৬ মার্চ) বিকেলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (প্রশাসন, অর্থ ও পরিকল্পনা) মো. আবদুল ওয়াদুদ সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (চিকিৎসা ও পুনর্বাসন) মো. মাসুদ হোসেন বলেন, প্রাথমিক তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে এডি এ.কে.এম দিদারুল আলমকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। আমাদের তদন্ত চলমান। পরিবর্তীতে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে ৯ মার্চ সকালে কক্সবাজার সদরের ঝিলংজার বাংলাবাজার এলাকার এক অটোরিকশা চালককে লিংকরোড থেকে ধরে নিয়ে যায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের টিম। চালকের স্ত্রীর অনুরোধে ওই টিমকে ফোন করে আটকের বিষয়ে জানতে চান সাংবাদিক শাহীন মাহমুদ রাসেল। তবে সাংবাদিক ফোন করায় ওই চালককে ইয়াবা দিয়ে চালান দেওয়া হয়।

সন্ধ্যার পর এ বিষয়ে আবারো ফোন করা হলে মাদকের কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (এডি) দিদারুল আলম অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন শাহীন রাসেলের সঙ্গে। এর দুই ঘণ্টার মাথায় ইয়াবাসহ এক যুবককে এনে সেগুলো সাংবাদিক রাসেলের বলে স্বীকারোক্তি আদায়ের বিষয়টি ফেসবুক প্রচার করা হয়। এরপর সেই যুবকের সঙ্গে মাদক মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয় সাংবাদিক রাসেলকে।

এ ঘটনায় ১০ মার্চ দুপুরে সাংবাদিকরা এডির বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন। তাকে কক্সবাজার থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানো হয়। পুরো বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেন। এরপর মাদকের চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন মোল্লার নেতৃত্বে চারজনের একটি টিম ১১ মার্চ দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তদন্ত কার্যক্রম চালান।

তদন্ত দল অভিযুক্ত এডি দিদারুল, তার টিমের অন্যান্য সদস্য, ভুক্তভোগী সাংবাদিক শাহীন মাহমুদ রাসেল এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষ্যগ্রহণ করে ও লিখিত জবানবন্দি নেয়। একই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভিডিও ও অন্যান্য প্রমাণাদি সংগ্রহ করা হয়। যা পরে ওই রাতেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়।

এরপর ১৫ মার্চ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের একটি তদন্ত টিম কক্সবাজার এসে ভুক্তভোগী সাংবাদিক, অভিযুক্ত এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রমাণাদি পর্যবেক্ষণ করার পর তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে এডি এ.কে.এম দিদারুল আলমের সরকারি মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে তিনি কোনো সাড়া দেননি।

সায়ীদ আলমগীর/জেডএইচ/জেআইএম

Read Entire Article