মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৫ পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার পূর্ব রাস্তি পুরাতন ট্রলারঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠিয়েছেন চিকিৎসক।
আহতদের মধ্যে ১৬ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, সদর উপজেলার পূর্ব রাস্তির সোহরাব ঢালীর ছেলে রিফাত ঢালী (১৭), একই এলাকার বাপ্পি বেপারীর ছেলে সুরুজ বেপারী (১৬), মাদ্রা এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে সোহেল (২৫), আমবাড়ি এলাকার মহসিন সরদারের ছেলে মিলন সরদার (২০), শহরের শকুনী এলাকার বেলায়েত মুন্সির ছেলে ফারদিন মুন্সি (১৭), সবুজবাগ লঞ্চঘাট এলাকার আরিফ বেপারীর ছেলে নিশাদ (১৬), মহিষেরচর এলাকার আলমগীর খানের ছেলে রাব্বি খান শিতল (১৮), একই এলাকার ইছাহান খানের ছেলে ইয়াসিন খান (১৭), শাজাহান হাওলাদারের ছেলে ইমন হাওলাদার (১৬), শহরের পুরাণবাজারের আরিফ হাওলাদারের ছেলে নিবির (১৬), একই এলাকার হারেচ হাওলাদারের ছেলে নাহিদ (১৭)।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, সদর মডেল থানার এসআই ইউনুস মোল্লা (৪৫), সুমন খান (৩৬), রমজান আলী সজল (৩৪), কনস্টেবল নুরুল ইসলাম খান (৪৮), কামরুল ইসলাম খান (৪০)। বাকিদের নাম তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়র জানায়, শহরের লঞ্চঘাট এলাকার নিরব বেপারীর সঙ্গে আধিপত্য নিয়ে পূর্ব রাস্তি এলাকার নাঈম ভুইয়ার বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে রাতে দুই গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সেনাবাহিনীর একটি দল। সংঘর্ষে ৫ পুলিশসহ আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। আহতদের মধ্যে বোমায় গুরুতর আহত রিফাত ঢালীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠিয়েছে চিকিৎসক। ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী এক গণমাধ্যমকর্মী জানান, হঠাৎ করেই কিশোর গ্যাংয়ের অর্ধশত সদস্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। এলাকায় ক্ষমতা দেখাতেই এমন কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
এদিকে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি। এতে হামলাকারীদের আঘাতে আমাদের ছয়জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহতও রয়েছে। এ ছাড়া এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।