মাদ্রাসায় বিস্ফোরণে ৩ নারী আটক; চাঞ্চল্যকর তথ্য উদ্ঘাটন
কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসায় সংঘটিত বিস্ফোরণের ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিন নারীকে আটক করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি সাইফুল ইসলামের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান। আটককৃতরা হলেন— মাদ্রাসার মালিক পলাতক মো. আল-আমিনের স্ত্রী আছিয়া, আছিয়ার বড় ভাইয়ের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার এবং আসমানি খাতুন। তবে মাদ্রাসার মালিক মো. আল-আমিন এখনো পলাতক রয়েছেন। পুলিশের তথ্যমতে, আল-আমিন ও আসমানির নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে এসপি মিজানুর রহমান জানান, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ হাউজিং এলাকার ‘উম্মুল কুরা ইন্টারন্যাশনাল’ নামের একটি মাদ্রাসায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দুই শিশুসহ চারজন আহত হন। বিস্ফোরণে মাদ্রাসার দুটি কক্ষসহ মোট চারটি কক্ষ ও ছাদের একটি অংশ ধসে পড়ে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বিপুল পরিমাণ আলামত উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় ৪০০ লিটার তরল রাসায়নিক দ্রব্য, চারটি ককটেল সদৃশ বস্তু, একটি ল্যাপটপ, দুটি মনিটর, একটি লেখ (ডিভাইস) এবং এ
কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসায় সংঘটিত বিস্ফোরণের ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিন নারীকে আটক করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি সাইফুল ইসলামের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান।
আটককৃতরা হলেন— মাদ্রাসার মালিক পলাতক মো. আল-আমিনের স্ত্রী আছিয়া, আছিয়ার বড় ভাইয়ের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার এবং আসমানি খাতুন। তবে মাদ্রাসার মালিক মো. আল-আমিন এখনো পলাতক রয়েছেন। পুলিশের তথ্যমতে, আল-আমিন ও আসমানির নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এসপি মিজানুর রহমান জানান, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ হাউজিং এলাকার ‘উম্মুল কুরা ইন্টারন্যাশনাল’ নামের একটি মাদ্রাসায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দুই শিশুসহ চারজন আহত হন। বিস্ফোরণে মাদ্রাসার দুটি কক্ষসহ মোট চারটি কক্ষ ও ছাদের একটি অংশ ধসে পড়ে।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বিপুল পরিমাণ আলামত উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় ৪০০ লিটার তরল রাসায়নিক দ্রব্য, চারটি ককটেল সদৃশ বস্তু, একটি ল্যাপটপ, দুটি মনিটর, একটি লেখ (ডিভাইস) এবং একটি মোটরসাইকেল। তবে আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এখন পর্যন্ত কোনো জঙ্গি তৎপরতার সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
এসপি আরও বলেন, পুরো বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব নয়। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হবে এবং আটককৃতদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
তিনি জানান, আল-আমিনের বিরুদ্ধে ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন থানায় অন্তত সাতটি মামলা রয়েছে। ২০১৭ ও ২০২০ সালে তাকে দু’বার গ্রেপ্তার করা হলেও জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি পুনরায় হাসনাবাদ এলাকায় আস্তানা গড়ে তোলেন। একইভাবে আটক আসমানির নামেও দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে শেখ আল-আমিন চার কক্ষবিশিষ্ট একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। এর মধ্যে দুটি কক্ষে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন এবং বাকি দুটি কক্ষে মাদ্রাসা পরিচালনা করতেন। মাদ্রাসাটিতে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করত। তবে ঘটনার দিন শুক্রবার হওয়ায় শিক্ষার্থীরা সেখানে উপস্থিত ছিল না, ফলে বড় ধরনের প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
What's Your Reaction?