মানিকগঞ্জের সিংগাইরে একটি গার্মেন্টস কোম্পানির সীমানা নির্মাণকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের সুদক্ষিরা গ্রামের মৃত করম আলি বেপারির ছেলে মো. হারুন-অর-রশিদ (৫০), মো. হারুন-অর-রশিদের ছেলে সাব্বির (১৯), মো. মিজানুর রহমান (৪০) ও শামসুল আলম (৪২)।
এ ঘটনায় আহত মো. হারুন-অর-রশিদের ভাই সাবেক জামির্ত্তা ইউনিয়নের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজী সহিদুল ইসলাম (৫৮) বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জেওএম তৌফিক আজম।
জানা যায়, মো. হারুন-অর-রশিদ ও একই এলাকার মৃত আলী আহম্মেদের ছেলে ফারুক হোসেনের সঙ্গে ব্লাজন লেবেল ফ্যাক্টরির সীমানা বাউন্ডারি নির্মাণ নিয়ে বিরোধ চলছিল। তারই জের ধরে সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে পরিবারের লোকজন হারুন-অর-রশিদ ও সাব্বিরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত মিজানুর রহমান ও শামসুল আলমকে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ফারুকের মোবাইলে একাধিক ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জামির্ত্তা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজী শহিদুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী সরকারের আমল থেকেই এ আওয়ামী লীগের দোসররা আমাকে পুলিশি হয়রানিসহ বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। এছাড়াও বিগত দিনগুলোতে এ ডালিম ও ফারুক বাহিনী এলাকার বিভিন্ন ফ্যাক্টরিগুলো থেকে চাঁদাবাজি করে আসছিল। গত ৫ আগস্টের পর আমরা চাঁদাবাজিতে বাধা প্রদান করলে তারা আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় পূর্ব শত্রুতার ঝের ধরে গত ১৭ মার্চ আনুমানিক ১১টার দিকে আমার ভাই মো. হারুন আর রশিদ ঘাস কাটতে গেলে ডালিম, ফারুকসহ ১০ থেকে ১১ জন আমার ভাইকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে, এমন পরিস্থিতিতে আমার ভাতিজা তার বাবাকে রক্ষা করতে গেলে তার উপরও হামলা হয়। তাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পরে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জেওএম তৌফিক আজম বলেন, দুপক্ষের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার ঘটনায় দুপক্ষই থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। হাজী শহিদুল ইসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে।