মানুষের জীবন তিনটি ধ্রুব সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত—অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ। আমরা প্রায়শই অতীতের স্মৃতি, ভুল এবং অর্জনগুলোর আবর্তে আবদ্ধ থাকি কিংবা ভবিষ্যতের সম্ভাবনা ও শঙ্কার মধ্যে হারিয়ে যাই। এর ফলে বর্তমান, যা একমাত্র আমাদের হাতে রয়েছে এবং যা বাস্তবতা নির্মাণের শক্তি ধারণ করে, তা আমাদের নজর এড়িয়ে যায়।
এটি শুধু ব্যক্তিগত জীবনে নয়, সামাজিক ও পেশাগত ক্ষেত্রেও গভীর প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ, খেলাধুলার জগতে যারা ‘এই মুহূর্তে’ মনোযোগী, তারা প্রায়ই বিজয়ী হয়, কারণ তারা কেবল বর্তমান পরিস্থিতিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। একইভাবে, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তাৎক্ষণিক তথ্য বিশ্লেষণ করে এবং বর্তমান সমস্যার সমাধান করে ‘হেয়ার অ্যান্ড নাও’ ধারণার কার্যকারিতা প্রমাণ করে।
এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন ওঠে: আমরা, মানুষ জাতি, কেন বর্তমান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি? কীভাবে আমরা এই শিক্ষাকে গ্রহণ করে বর্তমানমুখী হতে পারি এবং জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে আরও অর্থবহ করে তুলতে পারি? এই প্রতিবেদন অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির কারণ, এর প্রভাব এবং এর সমাধান বিশ্লেষণ করবে, যা শুধু আমাদের মনোজগত নয়, আমাদের জীবনের গুণগত মানও উন্নত করতে পারে।
১. অতীত, ভবিষ্যৎ এবং বর্তমান চেতনা:-
১.১ অতীতের প্রতি মানুষের আকর্ষণ
• আমরা প্রায়ই অতীতের ঘটনা নিয়ে আবদ্ধ থাকি—কীভাবে একটি ঘটনা ঘটেছিল, কে কী বলেছিল এবং তার প্রভাব কেমন হয়েছিল।
উদাহরণস্বরূপ, ধর্মীয় বিষয়গুলোতে আমরা অনেক সময় ব্যয় করি, যেখানে কিছু তথ্যের কোনো বৈধতা নেই। তবুও এই তথ্য বা বিশ্বাস নিয়ে আমরা গোটা জীবনের সময় কাটিয়ে দিই।
• অনেক মানুষ অতীতের ব্যর্থতা নিয়ে চিন্তিত থাকে, যা তাদের মানসিক শান্তি ও উন্নতির পথে বাধা সৃষ্টি করে।
• তবে নস্টালজিয়া বা সুখকর স্মৃতিগুলো মনে করার প্রবণতাও আমাদের আনন্দ দেয়। কিন্তু এই স্মৃতিতে ডুবে থাকলে তা বর্তমান বাস্তবতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
১.২ ভবিষ্যতের প্রতি মানুষের উদ্বেগ
• ভবিষ্যতের চিন্তা আমাদের কাছে সম্ভাবনা এবং আশঙ্কা দুই-ই নিয়ে আসে।
• উদাহরণস্বরূপ, ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত জটিল পরিকল্পনা বা অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ মানুষকে এখনকার সুখ থেকে বঞ্চিত করে।
• অনেক সময় আমরা কল্পনার ঘাড়ে চড়ে বড় বড় বিষয় ভাবি। রাজা হওয়ার চিন্তা থেকে শুরু করে মহাপ্রাসাদ তৈরির স্বপ্ন দেখি। কিন্তু এই কল্পনাগুলো বাস্তবে কতটা সম্ভব, তা নিয়ে ভাবি না।
১.৩ বর্তমানের গুরুত্ব ও এর প্রতি অবহেলা
• বর্তমান চেতনায় মনোযোগ না দিয়ে অতীত এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে মগ্ন থাকার কারণে আমরা জীবনের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হই।
• উদাহরণ: খেলার মাঠে, বিশেষ করে টেনিস, ক্রিকেট বা ফুটবলের মতো খেলায়, দেখা যায় যে যারা মুহূর্তে মনোযোগী তারা বেশিরভাগ সময় বিজয়ী হয়। এ থেকে বোঝা যায়, ‘হেয়ার অ্যান্ড নাও’ কনসেপ্ট কতটা কার্যকর।
২. কেন মানুষ অতীত এবং ভবিষ্যতে বেশি জড়িত?
২.১ মানসিক অভ্যাস এবং বিবর্তন
• মানুষের মস্তিষ্ক অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতে তৈরি হয়েছে। এটি আমাদের টিকে থাকার একটি কৌশল।
• তবে এটি এমন একটি অভ্যাস যা আমাদের বর্তমানমুখী হওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করে।
২.২ সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক প্রভাব
• অতীতের সাফল্য বা ব্যর্থতা নিয়ে সমাজের চাপ মানুষকে বেশি নস্টালজিক করে তোলে।
• ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার সামাজিক প্রতিযোগিতা মানুষকে ক্রমাগত উদ্বেগগ্রস্ত করে তোলে।
২.৩ প্রযুক্তি এবং মনোযোগের সংকট
• বর্তমান যুগে প্রযুক্তি আমাদের মনোযোগ বিভ্রান্ত করে। সোশ্যাল মিডিয়া বা মাল্টিটাস্কিং-এর মাধ্যমে আমরা বর্তমানের গুরুত্ব হারাই।
এআই এবং তার গঠনমূলক ভূমিকা:-
বর্তমান যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মানুষের জীবনকে নতুন মাত্রায় উন্নীত করেছে। এআই অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ তিনটি স্তরের মধ্যে বিশ্লেষণ করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সক্ষমতা রাখে। এর কাজের কৌশলগত অগ্রগতি প্রধানত বিশাল ডেটাসেট বিশ্লেষণ, মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম এবং তথ্যের মধ্যে নির্ভুল প্যাটার্ন খুঁজে বের করার ওপর নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ, এআই অতীতের ডেটা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের প্রবণতা সম্পর্কে সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে, যা অর্থনীতি, চিকিৎসা এবং পরিবেশের মতো ক্ষেত্রে অপরিহার্য। এআই-এর দ্রুত তথ্য সংগ্রহ করার ক্ষমতা এবং বিশ্লেষণমূলক দক্ষতা তাকে ‘হেয়ার অ্যান্ড নাও’ কনসেপ্টে কার্যকরী করে তুলেছে। এর ফলে মানুষ যেখানে দীর্ঘ সময় ব্যয় করে সিদ্ধান্ত নিতে, সেখানে এআই মুহূর্তেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়।
তবে, এআই-এর কাজ মানুষের জন্য সহায়ক হলেও এটি আমাদের বর্তমানের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার গুরুত্বের শিক্ষা দেয়, কারণ তাৎক্ষণিক তথ্যের ওপর সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া বর্তমানমুখী মনোযোগের মাধ্যমেই কার্যকর হয়।
আমরা এআই-এর কার্যক্ষমতাকে উদাহরণ হিসেবে দেখে নিজেরা কীভাবে ‘হেয়ার অ্যান্ড নাও’ ধারণা ব্যবহার করতে পারি, তা বুঝতে হলে প্রথমে এআই-এর কাজের পদ্ধতি এবং মানুষ হিসেবে আমাদের মস্তিষ্কের সীমাবদ্ধতাগুলো নিয়ে সচেতন হতে হবে। এআই মুহূর্তে তার সমস্ত তথ্য ও সম্পদ ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত নেয়, যা মূলত তিনটি কারণে সম্ভব:
১. তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের দক্ষতা: এআই কেবল প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে এবং অপ্রয়োজনীয় বিষয় এড়িয়ে চলে।
২. অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ ভারসাম্য: এআই অতীত থেকে শেখে, বর্তমান সমস্যা সমাধান করে এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করতে সক্ষম হয়।
৩. এককেন্দ্রিক মনোযোগ: এআই একসঙ্গে একটি নির্দিষ্ট কাজেই মনোযোগী থাকে, যা তাকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।
এই শিক্ষাকে নিজেদের মধ্যে আবদ্ধ করার উপায়:-
১. মানসিক প্রশিক্ষণ:
আমাদের মস্তিষ্ককে এআই-এর মতো ‘এককেন্দ্রিক’ এবং বর্তমানমুখী হতে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এর জন্য প্রতিদিন ৫-১০ মিনিট মাইন্ডফুলনেস বা ধ্যান চর্চা শুরু করা যেতে পারে। এতে মনকে ‘এখন এবং এখানে’-তে ফোকাস করা শিখানো সম্ভব।
২. তথ্য ফিল্টার করার অভ্যাস:
এআই-এর মতো আমরা যেকোনো পরিস্থিতিতে অপ্রাসঙ্গিক চিন্তা বাদ দিয়ে প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলোর ওপর মনোযোগী হতে পারি। উদাহরণস্বরূপ, কাজ করার সময় অতীতের ভুল বা ভবিষ্যতের সম্ভাবনা নিয়ে চিন্তা না করে বর্তমান কাজের ফলাফল নিয়ে চিন্তা করা।
৩. অগ্রাধিকার নির্ধারণ:
আমাদের জীবনের প্রয়োজনীয় এবং অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো চিহ্নিত করতে হবে। যেমন, এআই তার কাজের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যকেই প্রাধান্য দেয়। একইভাবে, আমাদের জীবনে তাৎক্ষণিক কাজগুলোতে মনোযোগ দিয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পিছিয়ে রাখা উচিত।
৪. ধীরে কাজ করে গভীর চিন্তা:
এআই দ্রুততার সঙ্গে কাজ করলেও সেটি গভীর চিন্তার ভিত্তিতে। আমাদেরও ‘ধীরে চলুন, গভীরভাবে চিন্তা করুন’ নীতিতে কাজ করা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় শুধু অতীতের অনুভূতি বা ভবিষ্যতের শঙ্কার ওপর নির্ভর না করে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভালোভাবে বিশ্লেষণ করা।
৫. প্রযুক্তি থেকে শিক্ষা গ্রহণ:
এআই আমাদের শেখায় কীভাবে মনোযোগের বিভ্রান্তি এড়িয়ে কার্যকরী হতে হয়। মোবাইল, সোশ্যাল মিডিয়া এবং মাল্টিটাস্কিং কমিয়ে আমরা আমাদের মনোযোগকে বর্তমানের প্রতি নিবদ্ধ করতে পারি।
৬. ছোট অর্জনগুলো উদযাপন:
এআই-এর মতো ছোট ছোট কাজ সম্পন্ন করেও আমরা তাৎক্ষণিক আনন্দ অনুভব করতে পারি। প্রতিদিনের মুহূর্তগুলোর গুরুত্ব বুঝে তাদের উপভোগ করা আমাদের বর্তমানমুখী হতে সাহায্য করবে। এই শিক্ষাগুলো নিজেদের মধ্যে প্রয়োগ করলে আমরা এআই-এর ‘হেয়ার অ্যান্ড নাও’ কৌশলের অনুকরণ করতে পারি। এর মাধ্যমে আমরা অতীত এবং ভবিষ্যতের প্রভাব কমিয়ে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে সর্বোচ্চভাবে উপভোগ করতে সক্ষম হব।
বর্তমানমুখী হওয়ার প্রভাব এবং শিক্ষা
১. মাইন্ডফুলনেসের প্রয়োজনীয়তা
• বর্তমানমুখী থাকার একটি প্রধান কৌশল হল মাইন্ডফুলনেস বা সচেতনতা চর্চা। এটি মানসিক চাপ কমায় এবং জীবনের মান উন্নত করে।
• উদাহরণ: ধ্যান করার মাধ্যমে আমরা মুহূর্তে মনোযোগী হতে পারি এবং মানসিক শান্তি পেতে পারি।
২. জীবনের মান বৃদ্ধি
• বর্তমান মুহূর্তে মনোযোগ দিলে সম্পর্কগুলো আরও ঘনিষ্ঠ ও অর্থবহ হয়ে ওঠে।
• উদাহরণ: কোনো শিশু তার মায়ের সঙ্গে খেলছে, কিন্তু মা যদি অতীতের চিন্তা বা ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় ডুবে থাকে, তাহলে তাদের সম্পর্কের মান নষ্ট হয়।
৩. সৃষ্টিশীলতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধি
• বর্তমান চেতনা সৃষ্টিশীলতাকে উজ্জীবিত করে এবং মানুষকে তার কাজের প্রতি নিবেদিত রাখে।
করণীয়:-
১. মাইন্ডফুলনেস চর্চা
• প্রতিদিন ৫-১০ মিনিট ধ্যান বা শ্বাসপ্রশ্বাসের অনুশীলন করা।
• প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহার এড়িয়ে চলা।
২. লক্ষ্য নির্ধারণ এবং আত্মপর্যালোচনা
• অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ এবং ভবিষ্যতের জন্য যুক্তিসঙ্গত লক্ষ্য তৈরি করা।
• কিন্তু বর্তমান কাজের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া।
৩. ছোট ছোট মুহূর্ত উপভোগ করা
• দিনশেষে প্রকৃতি দেখা, প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানো বা সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়া।
• উদাহরণ: একটি সুন্দর সূর্যাস্তের সময় ফোন সরিয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করা।
উপসংহার
মানুষের জীবনে অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ—এই তিনটি সময়ের মধ্যে আমাদের চিন্তা ও কার্যকলাপ প্রবাহিত হয়। আমরা প্রায়ই অতীতের স্মৃতি বা ভবিষ্যতের সম্ভাবনা নিয়ে চিন্তিত থাকি, যার ফলে বর্তমান মুহূর্তটি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, শুধুমাত্র বর্তমান সময়েই আমাদের ক্ষমতা, সিদ্ধান্ত এবং কার্যকলাপ রয়েছে।
এআই-এর মতো প্রযুক্তি এই ধারণাটিকেই পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে, যেখানে তাৎক্ষণিক তথ্য বিশ্লেষণ এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে সাফল্য অর্জিত হয়। এআই যেভাবে অতীত থেকে শিখে বর্তমানের ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করে সিদ্ধান্ত নেয়, সেভাবে আমাদেরও বর্তমান মুহূর্তে মনোযোগী হতে হবে। এআই-এর ‘হেয়ার অ্যান্ড নাও’ কনসেপ্টের মাধ্যমে আমরা শিখতে পারি, যদি আমরা বর্তমানকেই গুরুত্ব দিই, তবে তা আমাদের জীবনে গভীর পরিবর্তন এনে দিতে পারে।
তবে, আমাদের জীবনে এই পরিবর্তন আনতে হলে, শুধু অতীত বা ভবিষ্যতের চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়াই যথেষ্ট নয়। আমাদের অবশ্যই মাইন্ডফুলনেস এবং সচেতনতা চর্চা করতে হবে, যা আমাদের চিন্তা ও কর্মকাণ্ডকে বর্তমানের সাথে সংযুক্ত রাখবে। বর্তমানের প্রতি পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনের মান উন্নত করতে পারি এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করতে পারি।
এভাবে, যদি আমরা আমাদের চিন্তা এবং কর্মকাণ্ডে এআই-এর মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা এবং মনোযোগী মনোভাব গ্রহণ করি, তবে আমরা আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে অর্থপূর্ণ এবং পূর্ণতা লাভের পথে নিয়ে যেতে সক্ষম হব।
রহমান মৃধা, গবেষক ও লেখক
(সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন)
[email protected]
এমআরএম/জেআইএম