মৌলভীবাজারে মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুই কর্মীকে অব্যাহতি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে ছাত্র আন্দোলন মৌলভীবাজারের সাবেক সমন্বয়ক ও ছাত্র প্রতিনিধি সুমন ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জেলা শাখার প্যাডে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুজনকে অব্যাহতি ও একজনকে সব কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মৌলভীবাজারের সক্রিয় কর্মী মীর নিজাম আহমদ ও শেখ সাব্বির আহমদের বিরুদ্ধে মামলা বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হয়েছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নিতে যাচ্ছি। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মৌলভীবাজারের অন্যতম প্রতিনিধি তানজিয়া শিশিরের বিরুদ্ধে মামলা বাণিজ্যে সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগ উঠায় তাকেও সব কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হলো। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুমন ভূঁইয়া আরও জানান, মৌলভীবাজারে আমাদের কোনো কমিটি নেই। বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন কমিটি আনঅফিসিয়ালি প্রকাশিত হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় এখন অনেকে দেন।
এ বিষয়ে জানতে মীর নিজাম আহমদ ও শেখ সাব্বির আহমদের মুঠোফোনে কল করলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজার মডেল থানায় সদর উপজেলার গিয়াসনগর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মীর শামীমের ছেলে মীর নিজাম আহমেদ বাদী হয়েছে ৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দুই শতাধিক জনের নামে মামলা করেন। অভিযোগ উঠে মামলার ব্যক্তিগত শত্রুতা ও নিরপরাধ অনেকে বিবাদী করা হয়েছে। এরপর গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মীর নিজাম আহমেদের অর্থ আদায়ের ভিডিও দেখা যায়। এরপরই ব্যবস্থা নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
ওমর ফারুক নাঈম/আরএইচ/এমএস