মারামারির মামলায় ৬ মাসের দণ্ড, ৩৬ বছর পর দায় থেকে অব্যাহতি

4 months ago 40

স্থানীয় একটি পুকুরের মালিকানা নিয়ে হামলার জেরে ১৯৮৭ সালে দায়ের করা মামলায় নিম্ন আদালতে সাজাপ্রাপ্ত চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বাসিন্দা ফয়েজ আহমেদকে অভিযোগের দায় থেকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। মামলা করার ৩৬ বছর পর রায়ের রিভিশন (আপিল) নিষ্পত্তি করে রায় দিয়েছেন আদালত।

তবে রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ ২০২৩ সালের ৯ মার্চ রায় ঘোষণা করেন। সম্প্রতি রাযের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়। যেখানে নিম্ন আদালতে দণ্ডিত ফয়েজ আহমেদকে ছয় মাসের দণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলার শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আশেক মোমিন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট লাকী বেগম এবং ফেরদৌসী আক্তার। এছাড়া আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৮৭ সালের ২২ নভেম্বর মিরসরাইয়ে পুকুরের মালিকানা নিয়ে একটি সালিশ বৈঠকে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে সেই ঘটনায় করা মামলায় একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। এরপর মামলার বিচার শেষে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট ১৯৮৯ সালের ৪ এপ্রিল ফয়েজ আহমেদকে ছয় মাসের ও অন্য আসামি নিজাম উদ্দিন ওরফে জসিম উদ্দিনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে ফয়েজ ২০০৫ সালে আপিল করলে চট্টগ্রামের বিশেষ দায়রা জজ আদালত ২০০৬ সালের ১ মার্চ আপিল নামঞ্জুর করেন। পরবর্তীতে তিনি হাইকোর্টে রিভিশন দায়ের করেন। এরপর শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট।

রায়ে রিভিশন হাইকোর্ট বিচারিক আদালত ও আপিল আদালতের রায় বাতিল করেন। সেই সঙ্গে আসামি ফয়েজ আহমেদকে দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে খালাস দেন।

রায়ে আদালত বলেন, এ ঘটনায় দুইটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি করেছে আপিলকারী ফয়েজ আহমেদ। অন্যটি তার বিরুদ্ধে। ফয়েজ আহমেদের বিরুদ্ধে করা মামলার এক নম্বর সাক্ষী ‘শুনা সাক্ষী’। দুই ও তিন নম্বর সাক্ষীর বিরুদ্ধে ফয়েজ আহমেদ মামলা করেছে। পাশাপাশি চার নম্বর সাক্ষী ডাক্তার। আর ৫ নম্বর সাক্ষী তদন্তকারী কর্মকর্তা। তবে কোনো নিরপেক্ষ সাক্ষী নেই। ফলে প্রসিকিউশন পক্ষ কোনোপ্রকার সন্দেহের অবকাশ ব্যতীত অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

এফএইচ/এমআইএইচএস

Read Entire Article