মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে বিডিআর হত্যাকাণ্ডে হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা ইস্যু

2 weeks ago 16

বাংলাদেশের সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে নানা প্রশ্ন করা হয়। এবার এ ব্রিফিংয়ে বিডিআর হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে একটি প্রশ্ন করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। 

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।

ব্রিফিংয়ে শারাফত হুসাইন নামের এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ঢাকার পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতায় বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৭ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহত সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা। গতকাল অ্যাডভোকেট উদয় তাসমির মাধ্যমে সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা এ অভিযোগ দায়ের করেছেন। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিডিআর হত্যাকাণ্ড মামলা নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, সবশেষ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। তবে বিষয়টি সম্পর্কে আমার দল খোঁজখবর নেবে। আমরা আপনার জন্য কিছু করতে পারলে আনন্দিত হব। 

এর আগে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুম সংশ্লিষ্টতা ও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়। ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়, সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসে বাংলাদেশে গুম কমিশনের তদন্তের বিষয়ে একটি অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। যুক্তরাষ্ট্র আগেই জোরপূর্বক গুমের ঘটনায় জড়িতদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ বিষয়ে আপনার কোনো মন্তব্য আছে কি না।

জবাবে দপ্তরের প্রধান উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, গত দুই দশকে শত শত বাংলাদেশিকে জোরপূর্বক গুম করা হয়েছে। এমন প্রতিবেদনের বিষয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। জোরপূর্বক মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং এটি আটক বা বন্দিরা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ট্রমার ভেতর দিয়ে পার করেন। এমনকি তাদের অনিশ্চয়তার বিষয়ে পরিবারগুলোকেও ট্রমার ভেতর দিয়ে যেতে হয়। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের এই অপরাধের তদন্তের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই। এ ছাড়া আমরা ভিকটিম ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ন্যায়বিচার প্রদানের জন্য ন্যায্য ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করি।

Read Entire Article