এস ইসলাম, লন্ডন থেকে
জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বিতর্কের জেরে লেবার নেতা ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পিটার ম্যান্ডেলসনকে বরখাস্ত করেছেন। ২০০৮ সালের কিছু ইমেইলে ম্যান্ডেলসন এপস্টেইনের সাজা চ্যালেঞ্জ করার পরামর্শ দিতে দেখা যায়, যা ফাঁস হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত সপ্তাহে উপ-প্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেইনার কর জটিলতায় পদত্যাগ করায় লেবার সরকার এরই মধ্যেই চাপে ছিল। আসন্ন ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফরের ঠিক আগে এই কেলেঙ্কারি স্টারমারের জন্য আরও বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
স্টারমার ম্যান্ডেলসনকে নিয়োগ দেওয়ার সময় তার বিতর্কিত অতীত উপেক্ষা করার অভিযোগে দলীয় এমপিদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন। এমনকি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিয়োগ যাচাই প্রক্রিয়ায় সতর্কতা জারি করেছিল কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
সাবেক লেবার উপনেতা হ্যারিয়েট হারম্যান মন্তব্য করেছেন, এ ধরনের ইমেইল লিখেও পদে আগ্রহ দেখানো ম্যান্ডেলসনের আচরণ ‘লজ্জাজনক’। কনজারভেটিভ ও লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা বিষয়টি নিয়ে সংসদে ব্যাখ্যা দিতে স্টারমারকে আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, নতুন ইমেইলগুলোতে সাজা ভুল ছিল বলে দাবি করায় ম্যান্ডেলসনের এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক আগের ধারণার চেয়েও গভীর বলে প্রমাণিত হয়েছে এবং ভুক্তভোগীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন হিসেবে ওয়াশিংটনে যুক্তরাজ্যের ডেপুটি হেড অব মিশন জেমস রসকো রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব সামলাবেন।
এমআরএম/জেআইএম