পাসপোর্ট নিয়ে হতাশা কাটছে না মালয়েশিয়া প্রবাসীদের। বরং হতাশা আরও বাড়ছে। পাসপোর্ট নবায়নে বিলম্বের কারণে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন হাজার হাজার বাংলাদেশি। পাসপোর্ট পেতে দেরি হওয়ায় অনেকেই অবৈধ হয়ে পড়েছেন।
মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) প্রিন্ট ও বিতরণ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে হাইকমিশন জানায়, মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রায় ২৮ হাজার মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) আবেদন প্রক্রিয়াকরণ শেষে অনুমোদনসহ পাসপোর্ট অধিদপ্তরে প্রেরণ করে। এসব আবেদন পাসপোর্ট অধিদপ্তরে প্রিন্টের জন্য প্রক্রিয়াধীন।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের প্রেক্ষিতে হাইকমিশন আশা প্রকাশ করেছে, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে উল্লিখিত পাসপোর্ট প্রিন্টের কাজ ঢাকাস্থ পাসপোর্ট অধিদপ্তরে শুরু হবে।
হাইকমিশন আশা করছে, সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় সপ্তাহ থেকে হাইকমিশন পাসপোর্ট বিতরণের কাজ শুরু করবে।
এছাড়া যেসব এমআরপি আবেদন হাইকমিশনে পেন্ডিং রয়েছে সেগুলো হাইকমিশন থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। হাইকমিশনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আরও হতাশ হয়ে পড়েছেন পাসপোর্ট প্রত্যাশী মালয়েশিয়া প্রবাসীরা।
মালয়েশিয়া প্রবাসী আসানূর রহমান তার পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন জমা দেন ২৫ সেপ্টেম্বর। ডেলিভারির তারিখ ছিল ২৫ নভেম্বরে। কিন্তু নভেম্বরেও তিনি তা পাননি।
আসানূর জানান, পাসপোর্ট না পাওয়াতে ভিসার বিপরীতে দুটি বিশেষ পাস নিয়েছেন। চলতি মাসের মধ্যে ভিসা নবায়ন করতে না পারলে অবৈধ হয়ে যাবেন তিনি। পাসপোর্ট না পাওয়া আসানূরের মতো হাজার হাজার প্রবাসী হতাশায় পড়েছেন।
গত ২৯ অক্টোবর হাইকমিশনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক বিজ্ঞপ্তিতে এমআরপি পাসপোর্ট পেতে বিলম্ব হওয়ার কারণ জানানো হয়। তাতে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় বসবাসরত সব প্রবাসী বাংলাদেশির মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের বুকলেট, লেমিনেশন ফয়েল পেপার ঘাটতি ও মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের প্রিন্টিং মেশিনের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বাংলাদেশ থেকে পাসপোর্ট প্রিন্ট হতে বিলম্ব হচ্ছে। সে কারণেই এমআরপি পাসপোর্ট প্রত্যাশী বাংলাদেশিদের এমআরপি পাসপোর্ট পেতে অনাকাঙ্ক্ষিত বিলম্ব হচ্ছে।
এমআরএম/জেআইএম