‘বিদেশিরা নোংরা হয়ে উঠছে, সবাই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে’—এভাবেই হতাশা প্রকাশ করলেন কুয়ালালামপুরের লোরং হাজি তাইব এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ী রোসনি (৬১)। তার অভিযোগ, অনুমতি ছাড়া বিদেশিরা শুধু ব্যবসা করছে না, বরং স্থানীয়দের পারমিট ব্যবহার করে ‘আলি বাবা’ স্টাইলে ভাড়া নিয়ে পুরো এলাকা দখল করে নিচ্ছে।
২৩ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সিনার হারিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন বিভাগ ও কুয়ালালামপুর সিটি হল (ডিবিকেএল) যৌথভাবে লোরং হাজি তাইব এলাকায় অভিযান চালায়।
অভিযানে দেখা যায়, কর্তৃপক্ষের উপস্থিতি টের পেয়ে বেশিরভাগ বিদেশি ব্যবসায়ী পালিয়ে যায়, ফলে অনেক স্টল খালি হয়ে পড়ে। কেবল অল্পসংখ্যক স্থানীয় ব্যবসায়ী স্থানে অবস্থান করছিলেন।
কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি ওয়ান ইউসুফ জানান, দুটি পৃথক অভিযানে মোট ২৭ জনকে তল্লাশি করা হয়। এর মধ্যে লোরং হাজি তাইবের ‘অপ কুটিপ’ এবং কেপংয়ের বন্দর মাঞ্জালারার একটি রেস্তোরাঁয় ‘অপ সেলেরা’ পরিচালিত হয়।
অভিযানে একজন নারীসহ মোট ১২ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে আটজন বাংলাদেশি, একজন ভারতীয়, একজন পাকিস্তানি এবং দুজন ইন্দোনেশিয়ান। তাদের কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে ১৯৬৩ সালের ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ও ১৯৫৯/৬৩ সালের ইমিগ্রেশন অ্যাক্টের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
একই দিন দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলেও অভিযান চালানো হয়। সেখানে অবৈধ অভিবাসী সন্দেহে মোট ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যার মধ্যে ১৩ জন নারী। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ১৩ জন বাংলাদেশি, ১২ জন ইন্দোনেশিয়ান এবং একজন নেপালি রয়েছেন।
এছাড়া অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগে জড়িত সন্দেহে দুইজন স্থানীয় নাগরিককেও আটক করা হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, এ ধরনের কঠোর অভিযান নিয়মিত চালানো হলে বিদেশিদের বেআইনি আধিপত্য কমবে এবং স্থানীয়রা স্বস্তি ফিরে পাবে।
এমআরএম/এমএস