মায়ের কুলখানি শেষে মারা গেলেন ছেলে

মায়ের কুলখানির দিনই মারা গেলেন একমাত্র ছেলে। হৃদয়বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের বড়ধুশিয়া এলাকায়।  বুধবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হঠাৎ করে বাড়িতে ওই যুবক অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মানিক মিয়া (৫৫)। তিনি ওই এলাকার তাজুল ইসলাম হুজুর বাড়ির মৃত সৈয়দ আলীর বড় ছেলে। পেশায় তিনি একজন অটোরিকশাচালক ছিলেন।  পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার (২৩ নভেম্বর) বার্ধক্যজনিত রোগে মারা যান মানিক মিয়ার মা আমেনা বেগম (৭৫)। আজ তার মায়ের কুলখানি অনুষ্ঠান ছিল। সকাল থেকে বাড়িতে আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীসহ বহু লোকের সমাগম ছিল। মায়ের কুলখানি ঘিরে সারাদিন খুব ব্যস্ত সময় কাটান মানিক মিয়া। দিনশেষে সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে দ্রুত ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  এদিকে মায়ের কুলখানিতে ছেলের মৃত্যুর মতো করুণ ঘটনা এলাকাবাসীরাও মেনে নিতে পারছেন না। পুরো এলাকাজুড়ে শোকের

মায়ের কুলখানি শেষে মারা গেলেন ছেলে
মায়ের কুলখানির দিনই মারা গেলেন একমাত্র ছেলে। হৃদয়বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের বড়ধুশিয়া এলাকায়।  বুধবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হঠাৎ করে বাড়িতে ওই যুবক অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মানিক মিয়া (৫৫)। তিনি ওই এলাকার তাজুল ইসলাম হুজুর বাড়ির মৃত সৈয়দ আলীর বড় ছেলে। পেশায় তিনি একজন অটোরিকশাচালক ছিলেন।  পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার (২৩ নভেম্বর) বার্ধক্যজনিত রোগে মারা যান মানিক মিয়ার মা আমেনা বেগম (৭৫)। আজ তার মায়ের কুলখানি অনুষ্ঠান ছিল। সকাল থেকে বাড়িতে আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীসহ বহু লোকের সমাগম ছিল। মায়ের কুলখানি ঘিরে সারাদিন খুব ব্যস্ত সময় কাটান মানিক মিয়া। দিনশেষে সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে দ্রুত ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  এদিকে মায়ের কুলখানিতে ছেলের মৃত্যুর মতো করুণ ঘটনা এলাকাবাসীরাও মেনে নিতে পারছেন না। পুরো এলাকাজুড়ে শোকের আবহ বইছে। তিন দিনের ব্যবধানে দুজনের মৃত্যু শোকে পরিবারের সদস্যরা একেবারে ভেঙে পড়েছেন।  এ বিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অরূপ সিংহ বলেন, সন্ধ্যায় এক ব্যক্তিকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন স্বজনরা। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত পায়। ধারণা করছি তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আমরা নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছি।   

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow