মিরসরাইয়ে চলছে আমন ধান কাটার উৎসব
• এবার ১৯ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে চাষ• ২০২৪ সালে চাষ হয়েছিল ১৭ হাজার ৯২০ হেক্টর • চলতি বছর ১ হাজার ৬৫০ জন আমন চাষিকে প্রণোদনা চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে আমন ধান কাটার উৎসব চলছে। এখন ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে। এক বছরের ব্যবধানে আমন চাষ বেড়েছে ১ হাজার ৯০০ হেক্টর। গত বছর বন্যার কারণে অনেক কৃষক আমন আবাদ করতে পারেননি। চলতি বছর সেই ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে আবারও আমন চাষ শুরু করেছেন কৃষকেরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় ১৯ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছিল। ২০২৪ সালে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে চাষ কমে ১ হাজার ৯৩০ হেক্টর। ওই বছর আমন চাষ হয় ১৭ হাজার ৯২০ হেক্টর জমিতে। কৃষি অফিস বলছে, ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে মিরসরাইয়ে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা হয়। তাতে ১২ হাজার ৮০০ কৃষকের আমন বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রোপা আমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৩ হাজার ১০০ জন কৃষকের। তাই আমন চাষ কমে যায়। চলতি বছর কৃষি অফিসের বিভিন্ন প্রণোদনা ও সহযোগিতায় বন্যার ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছেন কৃষকেরা।
• এবার ১৯ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে চাষ
• ২০২৪ সালে চাষ হয়েছিল ১৭ হাজার ৯২০ হেক্টর
• চলতি বছর ১ হাজার ৬৫০ জন আমন চাষিকে প্রণোদনা
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে আমন ধান কাটার উৎসব চলছে। এখন ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে। এক বছরের ব্যবধানে আমন চাষ বেড়েছে ১ হাজার ৯০০ হেক্টর। গত বছর বন্যার কারণে অনেক কৃষক আমন আবাদ করতে পারেননি। চলতি বছর সেই ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে আবারও আমন চাষ শুরু করেছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় ১৯ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছিল। ২০২৪ সালে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে চাষ কমে ১ হাজার ৯৩০ হেক্টর। ওই বছর আমন চাষ হয় ১৭ হাজার ৯২০ হেক্টর জমিতে।
কৃষি অফিস বলছে, ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে মিরসরাইয়ে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা হয়। তাতে ১২ হাজার ৮০০ কৃষকের আমন বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রোপা আমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৩ হাজার ১০০ জন কৃষকের। তাই আমন চাষ কমে যায়। চলতি বছর কৃষি অফিসের বিভিন্ন প্রণোদনা ও সহযোগিতায় বন্যার ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছেন কৃষকেরা।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি বছর উপজেলায় ১৯ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। এরই মধ্যে দু’একটি ইউনিয়নে ফসল কাটা শুরু হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ফসল পুরোপুরি ঘর চলে আসবে। চলতি বছর ১ হাজার ৬৫০ জন কৃষককে আমন চাষে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। আমন চাষিদের দেওয়া হয় ৫ কেজি বীজ ও ২০ কেজি সার। বন্যার পর প্রণোদনা পেয়ে কৃষকেরাও খুশি। তারা কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করছেন।
আরও পড়ুন
আমন ধান ঘরে তোলার আনন্দে মেতেছেন কৃষকেরা
ঝিনাইদহে জুম ধান চাষ, কম খরচে বেশি ফলনে খুশি কৃষক
উপজেলার করেরহাট হিঙ্গুলী, করেরহাট, জোরারগঞ্জ, ইছাখালী, ওয়াহেদপুর, সাহেরখালীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, জমিতে সোনালি রঙের আমন ধান দুলছে। দু’এক জায়গায় আমন কাটা শুরু করেছেন কৃষকেরা। তবে এখনো কিছু এলাকায় আমন ধান কাটা শুরু হয়নি। পুরোপুরি ধান কেটে শেষ করতে আরও কয়েকদিন লাগবে।
উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের কৃষক মো. শাহজাহান জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত বছর বন্যার কারণে আমন আবাদ করতে পারিনি। আমার ৬ শতক জমির রোপা আমন নষ্ট হয়েছিল। চলতি বছর কৃষি অফিস থেকে বীজ ও সার পেয়ে আমন চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। তবে এখনো ফসল কাটা হয়নি। কয়েকদিন পর কাটবো।’
ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের আবদুল হান্নান জাগো নিউজকে বলেন, ‘ধান কেটে শুকানোর জন্য জমিতে রাখা হয়েছে। আগামী দু’একদিন পর বাড়ি নিয়ে আসবো। ফলন ভালো হয়েছে।’
এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় জাগো নিউজকে বলেন, ‘বন্যায় গত বছর আমন আবাদ কমেছিল। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ১ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে চাষ বেড়েছে। আমরা প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সহযোগিতা দিয়ে ফসল উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছি। এখন আমন ধান কাটা চলছে। শেষ হতে কিছুদিন সময় লাগবে।’
এসইউ/এমএস
What's Your Reaction?