মির্জাপুরে ‘অপবাদ’ দিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরকীয়ার ‘অপবাদ’ দিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের বটটেকী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এঘটনায় রাতেই থানায় দুইজনকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ওই গৃহবধূ। প্রেসক্লাবে এসে ওই গৃহবধূ বলেন, ৫ মাস বয়সী একমাত্র সন্তানকে নিয়ে শয়নকক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। এসময় গোড়াই এলাকার স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী ও ময়লার ব্যবসায়ী আজাহার মিয়া (৪২) ও রাজিব মিয়া (৩৫) তার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে পরপুরুষ রয়েছে এমন অভিযোগ তুলে তারা ওই নারীর শয়নকক্ষে প্রবেশ করেন। আশেপাশের লোকজন জড়ো হলে তারা তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বিদায় করে দেন। এরপর শিশুকে জিম্মি ও শিল্প কারখানায় কর্মরত স্বামীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই গৃহবধূকে শারিরীক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে শ্লীলতাহানি ঘটান তারা। কিন্তু ওই নারী জন্মনিরোধক আবরণ আনার কথা বলে কৌশলে ঘর থেকে বের হয়ে ধর্ষণের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করেন। এদিকে ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন অভিযুক্তরা। মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করেও তাদের কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। এলাকার একাধিক মানুষের সাথে কথা হলে তারা বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উ

মির্জাপুরে ‘অপবাদ’ দিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরকীয়ার ‘অপবাদ’ দিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের বটটেকী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এঘটনায় রাতেই থানায় দুইজনকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ওই গৃহবধূ।

প্রেসক্লাবে এসে ওই গৃহবধূ বলেন, ৫ মাস বয়সী একমাত্র সন্তানকে নিয়ে শয়নকক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। এসময় গোড়াই এলাকার স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী ও ময়লার ব্যবসায়ী আজাহার মিয়া (৪২) ও রাজিব মিয়া (৩৫) তার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে পরপুরুষ রয়েছে এমন অভিযোগ তুলে তারা ওই নারীর শয়নকক্ষে প্রবেশ করেন। আশেপাশের লোকজন জড়ো হলে তারা তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বিদায় করে দেন।

এরপর শিশুকে জিম্মি ও শিল্প কারখানায় কর্মরত স্বামীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই গৃহবধূকে শারিরীক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে শ্লীলতাহানি ঘটান তারা। কিন্তু ওই নারী জন্মনিরোধক আবরণ আনার কথা বলে কৌশলে ঘর থেকে বের হয়ে ধর্ষণের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করেন।

এদিকে ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন অভিযুক্তরা। মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করেও তাদের কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। এলাকার একাধিক মানুষের সাথে কথা হলে তারা বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা এভাবেই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে। সন্ধ্যার পর মদপান করে এলাকায় রংবাজি করাই তাদের কাজ।

বাসার মালিক আহম্মদ আলী বলেন, আমি বাসা করার শুরু থেকেই অভিযুক্তরা নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন করতো। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমার বাসার ভাড়াটিয়ার সাথে যা হয়েছে তা শতভাগ সত্য।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমি এখনো অবগত নই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow