মিশরের লোহিত সাগর উপকূলে একটি পর্যটকবাহী নৌকা ডুবে ১৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের মধ্যে ১২ জন বিদেশি নাগরিক বলে জানা গেছে। ডুবে যাওয়া নৌকাটির নাম ‘সি স্টোরি’। এতে ৪৪ জন আরোহী ছিলেন, যাদের মধ্যে ৩১ জন বিভিন্ন জাতীয়তার পর্যটক এবং ১৩ জন ক্রু সদস্য।
মিশরের রেড সি গভর্নরেট জানিয়েছে, সোমবার মার্সা আলামের কাছে নৌকাটি ডুবে যায়। উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ২৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তারা সামান্য আঘাত পেয়েছেন। তবে কেউকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন পড়েনি।
রেড সি গভর্নর আমর হানাফি জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, একটি বড় ঢেউ হঠাৎ নৌকাটিকে আঘাত করে। এতে মাত্র পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে এটি ডুবে যায়। তিনি জানান, কিছু যাত্রী তাদের কেবিনে ছিলেন এবং এজন্য তারা বের হতে পারেননি।
আরও পড়ুন>>
- লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল কমেছে ৪৫ শতাংশ
- লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রাখতে টাস্কফোর্সের ঘোষণা
- লোহিত সাগরে হুথিদের জাহাজে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ১০
নৌকাটি ৩৪ মিটার দীর্ঘ এবং এটি একজন মিশরীয় মালিকের বলে জানা গেছে। উদ্ধারকাজে মিশরের নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনী সহযোগিতা করছে।
নৌকাটিতে যুক্তরাষ্ট্র, বেলজিয়াম, যুক্তরাজ্য, চীন, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, স্পেন এবং সুইজারল্যান্ডের নাগরিক ছিলেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম আহরাম অনলাইনের তথ্য অনুযায়ী, মিশরের আবহাওয়া বিভাগ লোহিত সাগর এবং ভূমধ্যসাগরে প্রতিকূল আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছিল। রোববার ও সোমবার সব ধরনের নৌচলাচল স্থগিতের পরামর্শও দেওয়া হয়েছিল।
তবে এত প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও কীভাবে নৌকাটি চলাচলের অনুমতি পেয়েছিল, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
প্রবাল প্রাচীর ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্য বিখ্যাত লোহিত সাগর। এটি মিশরের পর্যটন খাতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তবে গত বছরও একই এলাকায় একটি নৌকায় আগুন লেগে তিনজন ব্রিটিশ পর্যটক নিখোঁজ হন এবং ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল।
২০১৬ সালে মিশরে আরও বড় একটি সামুদ্রিক দুর্ঘটনা ঘটে। সেসময় ভূমধ্যসাগরে প্রায় ৬০০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী নিয়ে একটি নৌকা ডুবে যায়। এতে কমপক্ষে ১৭০ জনের মৃত্যু হয়।
সূত্র: আল-জাজিরা
কেএএ/