বছরের শুরু থেকেই একের পর এক ধামাকা দিয়ে চলেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি হলিউড। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এবার মুক্তি পেতে চলেছে সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা ‘লাস্ট ব্রেথ’।
অ্যালেক্স পারকিনসনের পরিচালনায় নির্মিত এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন উডি হ্যারেলসন, সিমু লিউ ও ববি রেইনসবেরিসহ আরও অনেকে। এরই মধ্যে সিনেমাটির ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে, যা দেখে বেশ উচ্ছ্বসিত হলিউড সিনেপ্রেমীরা। আসন্ন এ সিনেমাটি ২০১২ সালে ঘটে যাওয়া এক সত্য ঘটনার অবলম্বনে নির্মিত। ২০১২ সালে নর্থ সি’তে এক গভীর সমুদ্র অভিযানে ঘটেছিল।
এ অভিযানে তিনজন ডুবুরি সমুদ্রতলের প্রায় ১০০ মিটার গভীরে একটি মেরামতের কাজ করছিলেন। এ কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে, ডুবুরিরা একটি ডাইভিং বেলের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন, যা আবার বিবি টোপাজ নামের জাহাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে একটি লাইফলাইনও সংযুক্ত ছিল, যা অক্সিজেন, গরম পানি, বিদ্যুৎ এবং যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই বিবি টোপাজের ডায়নামিক পজিশনিং সিস্টেম ব্যর্থ হয়, যার ফলে জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাগরের ঢেউয়ে ভেসে যেতে থাকে। ফলে যে ডুবুরিরা নিচে কাজ করছিলেন, তারা তাদের অবস্থান থেকে সরে যান। এরই মধ্যে এক ডুবুরির পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ হয়ে ওঠে। ওই সময় তার লাইফলাইন একটি পানির নিচের কাঠামোর সঙ্গে আটকে যায় এবং পরে সেটা সম্পূর্ণ ছিঁড়ে যায়। ফলে সে সমুদ্রের তলদেশে মাত্র পাঁচ মিনিটের জন্য জরুরি অক্সিজেন পান, কিন্তু তার কাছে কোনো আলো, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ কিংবা যোগাযোগের মাধ্যম ছিল না।
এরপর জাহাজটি দ্রুত একটি কেবল সাবমেরিন পাঠায়, যার ক্যামেরার মাধ্যমে ওই ডুবুরিকে খুঁজে বের করে এবং ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, সে ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে না পেরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। কিছুক্ষণ পর, জাহাজের পজিশনিং সিস্টেম পুনরায় সচল হয়, ফলে ডুবুরিরা সেই ডুবন্ত ডুবুরির নিথর দেহটি উদ্ধার করে ডাইভিং বেলের ভেতরে নিয়ে আসেন। এরপরই রয়েছে গল্পের টুইস্ট, যা সিনেমাটির নির্মাতা তার এ চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। বহুল প্রতীক্ষিত এ সিনেমাটি মুক্তি পাবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।