মুশফিকের চোখে সবচেয়ে বড় সেক্রিফাইস তার স্ত্রীর

কাছ থেকে চেনা, জানা ও দেখা সবাই মানেন মুশফিকুর রহিমই বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিশ্রমী ক্রিকেটার। তার ক্রিকেট প্রেম, অনুরাগ, ডেডিকেশন , মোটিভেশনও সর্বাধিক। সেটা অনুশীলনেই বোঝা যায়। হোক তা জাতীয় দল কিংবা ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট, মুশফিক নিজ দলের অনুশীলনে সবচেয়ে বেশি সিরিয়াস। সবচেয়ে বেশি সময় ধরে অনুশীলন করায় তার ধারেকাছে কেউ নেই। সবার আগে প্র্যাকটিসে আসেন মুশফিক। যান সবার পরে। সবচেয়ে বেশি ঘাম ঝরানও তিনি। এই যে বেশি সময় ধরে মাঠে থাকা ও মাঠমুখিতা, সেটাই বলে দেয় মুশফিক আসলে কতটা সিরিয়াস। এমন ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ মানুষটির ক্যারিয়ারে লম্বা ২০ বছর কাটলো। এ দীর্ঘ সময়ে তার পরিবারের সহযোগিতা, সমর্থন ও ত্যাগটাই নিশ্চয়ই বড় ভূমিকা রেখেছে। মুশফিক কী মনে করেন? কার সেক্রিফাইসটা তার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে- মা, বাবা, ভাই-বোন না স্ত্রীর? আজ মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন সেঞ্চুরির পর মিডিয়ায় কথা বলতে এসে মুশফিক জানান, ‘আমার মনে হয় আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশী সেক্রিফাইস যে আমার স্ত্রী দিয়েছে।’ মুশফিক কারণও ব্যাখ্যা করেন, ‘আপনারা দেখবেন আমি অন্যদের তুলনায় বেশি প্র্যাকটিস করি। কখনোই এটা সম্ভব হতো না, যদি আ

মুশফিকের চোখে সবচেয়ে বড় সেক্রিফাইস তার স্ত্রীর

কাছ থেকে চেনা, জানা ও দেখা সবাই মানেন মুশফিকুর রহিমই বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিশ্রমী ক্রিকেটার। তার ক্রিকেট প্রেম, অনুরাগ, ডেডিকেশন , মোটিভেশনও সর্বাধিক। সেটা অনুশীলনেই বোঝা যায়। হোক তা জাতীয় দল কিংবা ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট, মুশফিক নিজ দলের অনুশীলনে সবচেয়ে বেশি সিরিয়াস। সবচেয়ে বেশি সময় ধরে অনুশীলন করায় তার ধারেকাছে কেউ নেই।

সবার আগে প্র্যাকটিসে আসেন মুশফিক। যান সবার পরে। সবচেয়ে বেশি ঘাম ঝরানও তিনি। এই যে বেশি সময় ধরে মাঠে থাকা ও মাঠমুখিতা, সেটাই বলে দেয় মুশফিক আসলে কতটা সিরিয়াস। এমন ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ মানুষটির ক্যারিয়ারে লম্বা ২০ বছর কাটলো।

এ দীর্ঘ সময়ে তার পরিবারের সহযোগিতা, সমর্থন ও ত্যাগটাই নিশ্চয়ই বড় ভূমিকা রেখেছে। মুশফিক কী মনে করেন? কার সেক্রিফাইসটা তার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে- মা, বাবা, ভাই-বোন না স্ত্রীর?

আজ মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন সেঞ্চুরির পর মিডিয়ায় কথা বলতে এসে মুশফিক জানান, ‘আমার মনে হয় আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশী সেক্রিফাইস যে আমার স্ত্রী দিয়েছে।’

মুশফিক কারণও ব্যাখ্যা করেন, ‘আপনারা দেখবেন আমি অন্যদের তুলনায় বেশি প্র্যাকটিস করি। কখনোই এটা সম্ভব হতো না, যদি আমার পরিবারের সহযোগিতা না থাকতো। পরিবারের সাহায্য ছাড়া আমার পক্ষে এত বেশি সময় মাঠে কাটানো সম্ভব ছিল না। আপনারা কতজন জানেন জানি না, আমরা জয়েন্ট ফ্যামিলি বিলং করি। খুব স্বাভাবিকভাবেই আমার ওয়াইফের উপর যে এক্সপেক্টেশনটা আছে এবং সবাইকে ওইভাবে ম্যানেজ করতে হয়। কিছু হলেই ওকে ফোন দিয়ে কোনো প্রবলেমের কথা জানানো হয়। তাকে অনেক কিছু ম্যানেজ করতে হয়। তাই আমি বলব যে, আমার স্ত্রীর এটা অনেক বড় স্যাক্রিফাইস।’

‘হ্যাঁ, যদিও ওই সময়গুলো হয়তোবা আমি আর ফিরে পাব না। কারণ আমার দুটো বাচ্চা আছে। তারপরে ধরেন, রাতে স্বাভাবিকভাবেই ছোট বাচ্চারা সারারাত ঘুমায় না। আমার স্ত্রী পুরোটা সময় রাত জেগে বাচ্চাদেরকে মানুষ করেছে এবং আমাকে ওই টেনশন থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করেছে। আমি তার কাছে গ্রেটফুল। হয়তোবা কখনো এরকম করে তার সামনেও বলা হয় না। তো এটারও একটা কমপ্লেইন আছে (স্ত্রীর থেকে)। আমি ১১ বছর ধরে বিয়ে করেছি। মানে ২০১৪ থেকে আমার স্ত্রী আমার জীবন ও ক্যারিয়ারে বড় ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। আমার স্ত্রীর সেক্রিফাইসটা আমার ক্যারিয়ারেও সহায়তা করেছে অনেক।’

এআরবি/এমএমআর

 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow