মূল্যস্ফীতির ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

8 hours ago 4

চলতি বছর মূল্যস্ফীতির ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। সে সঙ্গে আরও বড় ধরনের চারটি ঝুঁকিও উঁকি দিচ্ছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বৈশ্বিক ঝুঁকি প্রতিবেদন ২০২৫ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সংস্থাটির ওয়েবসাইটে এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের  প্রতিবেদন মতে, বাংলাদেশ পাঁচটি বড় ঝুঁকিতে রয়েছে। সেসব হচ্ছে- মূল্যস্ফীতি, চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া (বন্যা, তাপপ্রবাহ), দূষণ (বায়ু, পানি, মাটি), বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক সুযোগের অভাব এবং অর্থনৈতিক নিম্নমুখিতা (মন্দা, স্থবিরতা)।

ডব্লিউইএফ বলেছে, মতামত জরিপ (ইওএস) চালিয়ে ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করা হয়। পরে অংশগ্রহণকারীদের কাছে থেকে প্রাপ্ত ঝুঁকিগুলো থেকে প্রধান পাঁচটি ক্রমান্বয়ে সন্বিবেশন করা হয়।

এদিকে মূল্যস্ফীতির বিষয়টি বর্তমান সরকারেরও উদ্বেগের বিষয়। দেশে মূল্যস্ফীতির হার এখনো বেশি জানিয়ে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘সবাই বলছে, মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। যেটুকু কমেছে, এটাকে কিন্তু কম বলা যায় না। মূল্যস্ফীতি এখনো বাড়তিই আছে। মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্নবিত্ত, শ্রমজীবী ও দিনমজুরদের ওপর চাপ বাড়ছে। মধ্যবিত্তরাও চাপে আছে।’

সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিফিংয়ে একনেক সভার বিস্তারিত তুলে ধরে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে রপ্তানিতে গতি ফিরেছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ আগের চেয়ে বাড়ছে, এটি আশার কথা। তবে আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে আগের বছরগুলো থেকে পিছিয়ে রয়েছে। আগের প্রকল্পগুলো যাচাই-বাছাইয়ের কারণে অর্থ ছাড়ে কিছুটা ধীরগতি রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘অর্থ ছাড় কম হওয়ার কারণে চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪০ হাজার কোটি টাকার এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৬২ হাজার কোটি টাকা। এখন অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া প্রকল্প আসায় এডিপি বাস্তবায়নেও গতি আসবে। এতে মানুষের কাছে টাকা যাবে, তাতে অর্থনীতিও কিছুটা চাঙ্গা হবে বলে আশা করা যায়।’

Read Entire Article