মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে দুই স্পিডবোট সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে জানা গেছে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কালিপুরা ঘাট এলাকার অদূরে মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন গজারিয়ায় নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মো. মাহাবুব আলম।
এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা নিহতরা হলেন- গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের মামুন বেপারির ছেলে অদুদ বেপারি (৩৫), একই এলাকার মো. বাবুল (৩৮), মাহমুদ গাজী (৪০) এবং ভবেরচর নয়াকান্দী এলাকার মোহন ভান্ডারের ছেলে নাইম ভান্ডার (৩০)।
স্থানীয় মানুষ ও জেলেরা সংঘর্ষের শব্দ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। পরে স্থানীয়রা কয়েকজনকে উদ্ধার করে রাত আনুমানিক দশটায় গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওদুদ ও বাবুল নামের দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
পুলিশ জানায়, অন্ধকার এবং কুয়াশার কারণে হয়তো একটি স্পিডবোট অন্যটিকে দেখতে না পাওয়ার কারণে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে।
গজারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সায়মা আক্তার জানান, রাত পৌনে দশটার দিকে তিনজনকে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে দুজন মৃত ছিলেন। আবদুল হালীম (৩৪) নামে একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
গজারিয়ার নৌপুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. মাহাবুব আলম কালবেলাকে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে রাতে কুয়াশার কারণে ওই দুটি স্পিডবোট চলাচলের সময় একটি আরেকটিকে দেখতে পায়নি। এ কারণে তাদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় চারজন মারা গেছে। তবে ওই স্পিডবোট দুটি রাতে এখানে কী করছিল বা কোথা থেকে এসেছে বিস্তারিত জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে গজারিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, নিহত দুইজনের মরদেহ গজারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে রয়েছে। তবে কীভাবে এ দুর্ঘটনা ঘটল এ ব্যাপারে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।