লিওনেল মেসির সঙ্গে তুলনা করা হয় তার। বলা হচ্ছে, মেসি-রোনালদোউত্তর যুগের সেরা তারকা হতে যাচ্ছেন বার্সেলোনার সদ্য আঠারোয় পা দেয়া উদীয়মান ফুটবলার লামিনে ইয়ামাল। এরই মধ্যে যার প্রোফাইলে যুক্ত হয়ে গেছে একটি ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা।
বার্সায় এবারও হান্সি ফ্লিকের অধীনে দুর্দান্ত একটি মৌসুম কাটাচ্ছেন এই তারকা ফুটবলার। মেসির সঙ্গে তুলনা সত্ত্বেও নিজেকে আর্জেন্টাইন মহাতারকার সমকক্ষ ভাবতে নারাজ ইয়ামাল। মেসির ভক্ত এবং আদর্শ মেনেই সামনে এগিয়ে যেতে চান এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।
মেসির সঙ্গে ইয়ামালের তুলনাকে খুবই ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বার্সার সাবেক পর্তুগিজ ফুটবলার, বর্তমানে ক্লাবটির স্পোর্টিং ডিরেক্টর ডেকো। তার মতে, মেসির সঙ্গে ইয়ামালের তুলনা দেখতে ভালো লাগে। তবে ইয়ামালের মধ্যে কিছু ‘ইউনিক’ প্রতিভা রয়েছে।
মুন্ডো দেপোর্তিভোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ডেকো বলেন, ‘মেসির সঙ্গে ইয়ামালের তুলনায় আমি কোনো সমস্যা দেখি না। বরং, এটাকে ইয়ামালের জন্য একটি গর্বের বিষয় বলে মনে করি। তবে, বিষয়টা তার জন্য ভালো না খারাপ, তা আমি জানি না। বিষয়টা নির্ভর করছে সম্পূর্ণ তার নিজের ওপর। সে এখন মাত্রই বেড়ে উঠছে এবং মেসির সঙ্গে তুলনাকে আমি খারাপ চোখে দেখছি না।’
‘ক্যারিয়ারের শেষে সবারই যার যার নিজের গল্প থাকে। তখন কিন্তু আর কারো সাথে কারো তুলনা করা হয় না। তবে, আমি মনে করি, বার্সার খেলোয়াড়দের মধ্যে তুলনা হতেই পারে। ফুটবলটা সব সময় এমনই। আমরা কোনো কিছু করতে না চাইলেও তা হবেই।’
‘তবে লামিনে অবশ্যই ইউনিক। তার নিজের জীবন নিজের হাতে। তার নিজের জীবনের গল্প আছে। কাকতালীয় ব্যাপার হচ্ছে লিওর মত তার একই ক্লাবের হয়ে খেলা এবং খুব অল্প বয়সে ভিন্ন পরিস্থিতিতে তার পেশাদার ফুটবলে জড়িয়ে যাওয়া। লিও যখন ক্লাবে আসে এবং নিজের ক্যারিয়ার শুরু করে একেবারে প্রতিষ্ঠিত একটি ক্লাব সেটআপে। কিন্তু লামিনে এলেন ভিন্ন পরিস্থিতিতে। ক্লাবে এখন একটা সংস্কার বা বিপ্লব চলছে। ক্লাবকে পুনরায় গড়ে তুলতে হচ্ছে। দু’জনেরই ভিন্ন ভিন্ন মুহুর্ত রয়েছে। তবে, ভালো কিছুর সঙ্গে ভালো কিছুর তুলনা করা হয়, এটা অবশ্যই খুব ভালো বিষয়।’
পিএসজির প্রস্তাব এবং বার্সার প্রত্যাখ্যান
২০২৪ ইউরোজয়ী এই ফুটবলার চাইলে মেসির পদাঙ্ক অনুসরণে করতে পারেন। কারণ, পিএসজি তরুণ এই ফুটবলারকে পেতে ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ট্রান্সফারের রেকর্ড গড়তে যায় প্যারিসের দলটি। ইয়ামালের জন্য এরই মধ্যে ২৫০ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৩ হাজার ১৭৮ কোটি টাকা) ট্রান্সফার ফি’র প্রস্তাব দিয়েছে।
কিন্তু বার্সেলোনা এতবড় একটি প্রস্তাবকে স্রেফ নাকচ করে দিয়েছে। ইয়ামালকে নিয়ে পিএসজির আগ্রহের বিষয়টা নিয়ে জানতে চাইলে ডেকো বলেন, ‘লামিনে কিংবা তার মত খেলোয়াড়দের জন্য এ ধরনের প্রস্তাব আসা খুবই স্বাভাবিক। তবে আমরা জানি মার্কেট ভ্যলু কার কেমন। লামিনে এখনও খুবই তরুণ; তবে বয়সের তুলনায় সব কিছুতে তার অনেক ম্যাচুইরিটি চলে আসছে। ’
আপাতত ইয়ামাল এসব কিছু নিয়ে ভাবছেন না। তার চিন্তা ইনজুরি আর মাঠে ফেরা নিয়ে। ইনজুরর কারণে আগামী তিন ম্যাচ তিনি মাঠে নামতে পারবেন না। ২৩ নভেম্বর সেল্টা ভিগোর মাঠে গিয়ে খেলবে বার্সা। ওই ম্যাচও না খেলার সমভাবনা বেশি ইয়ামালের।
আইএইচএস/